
মো: হাবিবুর রহমান, মান্দা:
নওগাঁর মান্দায় প্রেমের অভিযোগ তুলে নির্যাতন করার অপমান সইতে না পেরে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
মৃত স্কুলছাত্রীর নাম বেবী আক্তার (১৫)। সে মান্দা সদর ইউনিয়নের খাগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দিন শাহের মেয়ে ও মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মৃত বেবী আক্তারের চাচা সাইফুল ইসলাম জানান, ভাতিজি বেবী আক্তারকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের মেয়ে রীমা বেগম কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় ওই বাড়িতে কয়াপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে সুইটি বেগম, তার মা আনজুয়ারা বিবি, রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা কুসুম্বা দীঘিরপাড়া গ্রামের চয়নুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে বেবীর প্রেম চলছে এমন অজুহাত তুলে একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে।
শিক্ষার্থী বেবী আক্তারের বাবা সলিম উদ্দিন শেখ বলেন, প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের বাড়ি থেকে ছাড়া পেয়ে মেয়ে বেবী বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা প্রকাশ করে দেন। এনিয়ে উভয় পরিবারের নারীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ও ঝগড়ার হয়। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য ছিল না। বাড়িতে ফিরে তারা ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে মেয়েকে শান্তনা দেন।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতনের অপমান সইতে না পেয়ে সকলের অগোচরে মেয়ে বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে মান্দা হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে মারা যায় বেবী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী বেবীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত