
সংবাদদাতা:
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘ চ্যানেল ২৪’ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি নুপা আলমের টেকনাফের পৈত্রিক বাড়িতে ও ভাইয়ের দোকানে হামলা চালিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবাকারবারী।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যায় সাংবাদিক নুপা আলমের বড় ভাই আবুল কালামের দোকানও ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে চ্যানেল ২৪ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি নুপা আলম বলেন, বিভিন্ন সময় ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় একটি চক্র আমার উপর ক্ষেপে ছিল৷ বিশেষ করে নির্বাচনের আগে ৭৭ ইয়াবা কারবারি প্রার্থী হওয়ার সংবাদ চ্যালেন ২৪ এ প্রকাশের পর থেকে আত্মীয় স্বজন সহ নানাভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল কারবারীরা। তখন তারা আমার বাবা আবুল কাসেম ও ভাই আবুল কামালকে হামলার চেষ্টা করে। সেসময় উপজেলা চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্যরা এর বিচার করে দেয়। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চক্রটি আবার আমার বড় ভাইয়ের দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বিষয়টি আমি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে এব্যাপারে আগামি কাল বৈঠক করার কথা বলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮ টায় ফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও হত্যা হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখেন। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারি পালিয়ে যান।
নুপা আলমের বড় ভাই আবুল কামাল বলেন, হামলাকারীরা সকলেই স্বশস্ত্র ছিল। তাদের মধ্যে আমাদের গ্রামের সৈয়দ হোসনের দুই ছেলে হামিদ হোসেন ও জামাল হোসেন কে চিনতে পেরেছি। এরা দুজনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী। তাদের অপর এক ভাই এখনো ইয়াবা মামলায় কারাগারে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, আমি জানার পর সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। এব্যাপারে পরিষদে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে আবারো হামলা দু:খজনক। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
টেকনাফ থানার ওসি মো.হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রতিপক্ষ সটকে পড়ায় কাওকে আটক করা সম্ভব হয়নি
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে ঘটনার কথা শুনেই আমি নুপা আলমকে ফোন করেছি। পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি।
পাঠকের মতামত