সোয়েব সাঈদ, রামু:
‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ প্রতিপাদ্যে সারাদেশে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ১১-১৪ ডিসেম্বর ( শনিবার – মঙ্গলবার) চার দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে ৬ – ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১ টি নীল রঙের এবং ১২- ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সারাদেশের ন্যায় রামু উপজেলার ২৬৫টি ইপিআই টিকা কেন্দ্রে ৬০ হাজার ৪৭৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৮ হাজার ৪ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫২ হাজার ৪৬৯ জন শিশু।
বৃহস্পতিবার রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন -২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেসী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, রামু পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান, রামু থানার ওসি ( তদন্ত) অরুপ কুমার বিশ্বাস। ইপিআই টেকনোলজিস্ট আলী আকবরের সঞ্চালনায় এবং সেকমো আবদুস সালামের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় অন্যান্যদের মধ্যে রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, আল মাহমুদ ভূট্টোসহ স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা – কর্মীবৃন্দ বক্তব্য দেন।
শিশুকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বক্তারা বলেন ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া রামুতে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বর না কমলে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করার আগে হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া।
সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, ভাঙা হাড়ি-পাতিল, টিনের কৌটা, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ভাঙা কলস, ড্রাম, নারকেল ও ডাবের খোসা, ফাস্টফুডের কন্টেইনার, এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরের তলা এবং যেসব স্থানে মশা জন্মায় সেসব স্থানে পানি জমতে না দেওয়া এবং বাড়ির ভেতর ও আশপাশ সব সময় পরিষ্কার রাখা এবং অবশ্যই মশারী ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত