
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পঞ্চম বারের মতো ৪০টি বাসে করে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে থেকে চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের মালামাল বহনের জন্য ১১টি কাভার ভ্যান, ২টি এ্যাম্বুলেন্স, ২টি খালি বাস যেতে দেখা গেছে। আজও দুই হাজার মতো রোহিঙ্গা ভাসানচর নেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই দফায় এসব রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শেষে মিনি বাসে করে উখিয়া কলেজ মাঠের ট্রানজিট ক্যাম্প নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকাল ও দুপুরের খাবার খাইয়ে বাসে উঠার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলেও সুত্র নিশ্চিত করেন।
এখানে বসবাস সাড়ে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামসুদ্দৌজা বলেন, কয়েক ধাপে এ পর্যন্ত ১০ হাজার মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। সেখানে তারা অনেক ভাল পরিবেশে রয়েছে। এটি সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে ভাসানচরে।
কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি বলেন, ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা গিয়ে সেখানকার পরিবেশ ও থাকা-খাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে জানালে ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গারাও ক্রমে যেতে রাজি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট পরবর্তী মিয়ানমারে থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৪টি ক্যাম্পে তারা বসবাস করছে। তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করছে সরকার।
পাঠকের মতামত