
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে আজ দুপুর ২ টায় ১৬৪২ জন রোহিঙ্গার প্রথম দলটি ভাসানচর পৌঁছেছে।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সাতটি নৌযানে করে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লেফটেনেন্ট কমান্ডার এমকে জামান শামীম।
তিনি বলেন, ‘সাতটি নৌযানে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুটি জাহাজ, দুটি প্রহরা নৌকা ও চারটি দেশীয় নৌকা রয়েছে এ যাত্রায়।’
এর আগে বৃহস্পতিবার শাহ পরান ও শাহ মখদুম নামে দুটি জাহাজের এ রোহিঙ্গাদলের ১ হাজার ১৯টি লাগেজ ভাসানচরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ২০টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ‘ট্রান্সজিট ক্যাম্পে’ প্রথমে তাদের রাখা হয়। এসব বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিয়ে পুলিশ ও র্যাব-৯ এবং র্যাব-১৫।
ভাসানচরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা সরকারি খরচে রোহিঙ্গাদের জন্যে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
রোহিঙ্গা পূর্নবাসন প্রক্রিয়ায় সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এনজিও স্কাস এর চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা। তিনি বলেন, নৌবাহীনির তত্বাবধানে আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের সেবায় ২২টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিয়োজিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা নির্যাতন শুরু হলে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেন। এর আগে নির্যাতনে শিকার হয়ে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত