
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চকরিয়ায় গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েসহ নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টীমের সদস্যরা।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তদন্ত টিমের প্রধান স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়ের নেতৃত্ব তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম হারবাং ইউনিয়নের ঘটনাস্থল সুমুহ পরিদর্শন করেন।
এসময় তাঁরা স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত টীমের প্রধান সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
তবে কমিটির আরেক সদস্য চকরিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) তানভীর হোসেন বলেন, ঘটনার সময় উপস্থিত মেম্বার-চৌকিদারদের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা যাচ্ছেনা। শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করা হবে।
অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত কমিটি মাঠে কাজ করছে। গতকাল রবিবার বিকেলে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছেন। তিনিও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাওর করা হলে কক্সাবজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেনের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাদের রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে সড়কে পদক্ষিণ করার পর দ্বিতীয় দফায় মারধরের অভিযোগ উঠে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান উপর। এতে তারা অসুস্থ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেন। গরু চুরির অভিযোগ এনে স্থানীয় বাসিন্দা মাষ্টার মাহমুদুল হকের দায়ের করা মামলায় শনিবার আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত মা-মেয়েকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
তবে সোমবার আদালতে আসামীদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আরিফের নেতৃত্বে একদল আইনজীবি। এসময় আদালত পাঁচ আসামীর মধ্যে মা ও দুই মেয়ের জামিন আবেদর মঞ্জুর করেন।
পাঠকের মতামত