প্রকাশিত: ১২/১২/২০১৫ ১২:৩০ অপরাহ্ণ
অনলাইন রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরের জাজিরায় আজ পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নাওডোবায় নবনির্মিত হেলিপ্যাডে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার।
সকাল নয়টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে তাঁর রওনা হতে কিছুটা দেরি হয়।
হেলিকপ্টার থেকে নেমেই মঞ্চের পাশে অবস্থিত একটি ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সেতুর সার্ভিস পাইল উদ্বোধন করবেন। এরপর দোগাছিতে সেতুর সার্ভিস এরিয়ায় প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। সেখানে বিশ্রামের পর দুপুর আড়াইটায় মাওয়া চৌরাস্তায় মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন।

ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর কাজ হয়েছে ১৭ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ভূমি অধিগ্রহণ, সংযোগ সড়কের মতো কাজ শেষের পথে থাকলেও সেতু নির্মাণের মূল কাজ পাইলিং ও নদীশাসন আজই শুরু হচ্ছে।

শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেতুর দুই প্রান্ত নতুন রূপে সেজেছে। মাওয়ায় নতুন জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। নানা বর্ণের পতাকায় সাজানো হয়েছে নদীতীর। জাজিরা প্রান্তও সেজেছে। দুই পাড়ে দুটি ফলক নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে অনুষ্ঠান মঞ্চ। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক রামচন্দ্র দাস বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ পদ্মার দুই তীরে। তাকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নদীর দুই তীরের সড়কগুলো। স্থানীয়দের আশা, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকায় থাকায় নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ। সেতুকে ঘিরে নদীর দু’পাড়ে আধুনিক শহর গড়ে উঠবে। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, পদ্মার দুই পাড়ে হংকং-সাংহাইয়ের মতো শহর গড়ে তোলা হবে। নির্মাণ করা হবে আধুনিক বিমানবন্দর।এতে ব্যয় হবে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ভারত অনুদান হিসেবে ২০ কোটি ডলার দিয়েছে। বাকি প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। কাজ করছেন দেশি-বিদেশি চার হাজার কর্মী।

প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে। দ্বিতল এই সেতুর নিচতলা দিয়ে চলবে ট্রেন। ওপর তলায় চার লেনের সড়কে চলবে গাড়ি।

যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাব দিতে বলেন। ২০০১ সালের ৪ জুলাই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়; কিন্তু নানা জটিলতা ও অর্থসংস্থান না হওয়ায় কাজ শুরু হতে ১৩ বছর লেগে যায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। পাইলিংয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন এখন চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছবে। ২০১৮ সালেই সেতুর কাজ শেষ হবে।

মূল সেতুতে ব্যয় হচ্ছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর ঠিকাদার চীনা প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। নদীশাসনে ব্যয় হবে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করছে এ কাজ। দেশীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কসহ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট নির্মাণকাজ তদারক করছে।

পাঠকের মতামত

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

পলাশ বড়ুয়া:: উখিয়া কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ...