
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২২নভেম্বর রবিবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বাস্তবায়নে রাঙাামাটি কাউখালীর বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধার মাধ্যমে প্রান্তিক শিশুদের সহায়তাকরণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মফিজুল ইসলাম, কাউখালী উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃপা চাকমা, সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মেহেরুন্নাহার স্বপ্না, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিনাকী চাকমা, বাকছড়ি প্রাথমকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি কুমার চাকমা’সহ কাউখালী উপজেলার কাব্বারী, মহিলা মেম্বার, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আশিকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কক্সী তালুকদার।
সভায় চেয়ারম্যান বলেন, শান্তিচুক্তি মোতাবেক পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র-গোষ্ঠির শিশুদের সম্প্রদায়ভিত্তিক নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক বলেই মন্ত্রনালয় থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। তিনি বলেন, এ জেলার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে সব বৈরীতা দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃত শিক্ষা থেকে যেন কেউ বাদ না যায় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।
সভাপতির বক্ত্যবে আশিকার নির্বাহী পরিচালক বলেন, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে তা কোন ঠিকাদারকে দিয়ে করা হবেনা। স্বচ্ছ ও মজবুতভাবে নির্মাণের লক্ষ্যে আশিকা এবং সেভ দ্যা চিলড্রেনের প্রতিনিধি সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এ জেলার শিশুদের জন্য শিক্ষাবান্ধব স্কুল নির্মাণের কাজটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে দাতা সংস্থারা বৃহৎভাবে আগামীতে আরো এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।
পাঠকের মতামত