
আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার:
“এ্যাকোয়া কালচার মেডিসিনাল প্রোডাক্ট নিয়ন্ত্রণ” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিপণ্য চিংড়ি ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন-সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া জাতকরন ও বাজারজাতকরনে অনিবন্ধিত এ্যাকোয়া মেডিসিন ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশে উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যজাত পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো তৃতীয় কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানী করার সময় সংশ্লিষ্ট দেশের খাদ্য আইন পর্যালোচনা ও উৎপাদনক্রিয়া পরিদর্শন করার পর মনঃপুত হলে খাদ্য আমদানী করেন। তাই বাংলাদেশে উৎপাদিত মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির প্রতিটি প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত এ্যাকোয়া মেডিসিন ব্যবহার করে কঠোর মাণনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারের উপযোগী করে রপ্তানি করতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নোরাড, মৎস্য অধিদপ্তর ও ইউনিডোর আওতাধীন বেষ্ট প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে (১৮ নভেম্বর) বুধবার কক্সবাজার সাগরপাড়ের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী উক্ত সেমিনারে মৎস্য ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর, হ্যাচারী মালিক, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মৎস্য খাদ্য কারখানা মালিক, রপ্তানিকারক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, চিংড়ি খামারী ও মৎস্য অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। এতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত বক্তব্য ও মতবিনময়কালে বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছরের ব্যবধানে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি খাতটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত চিংড়ির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এসব দেশে চিংড়ি রপ্তানি করে গত সাত বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে গত অর্থবছরেই ৬০ হাজার টন চিংড়ি রপ্তানি করে ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। তাই চিংড়ি সম্পদের মান উন্নয়নে ভেটেরিনারী মেডিসিন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অন্যথায় ক্রম বর্ধমাণ এ রপ্তানি বাজার বাঁধাগ্রস্থ হবে। দেশের দ্বিতীয় রপ্তানি পণ্য চিংড়ি সম্পদকে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বেষ্ট প্রোগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেটার ফিশারীজ কোয়ালিটি প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প নিয়ন্ত্রক খন্দকার রশিদুল হাসান, প্রকল্প পরিচালক ড. সালেহ আহমেদ, ইউনিডো’র জাতীয় বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মোঃ কামাল, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এবিএম আকতারুজ্জামান, চট্টগ্রাম মৎস্য ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপ-পরিচালক প্রভাতী দেব, আইএমইডি উপপরিচালক পরিমল চন্দ্র বোস, পরিকল্পনা কমিশনের সহকারী প্রধান হাসানুজ্জামান ও চীফ টেকনিক্যাল এ্যাসিষ্টেন্ট টিএস শেঠী প্রমুখ। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে “এ্যাকোয়া-মেডিসিন নিবন্ধন, বিতরণ, গুদামজাতকরণ এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়” শীর্ষক মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ড. মঈন উদ্দিন আহমদ।
পাঠকের মতামত