
মহেশখালী (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের মহেশখালীতে জুনিয়র দাখিল (জেডিসি) পরীক্ষা চলাকালে দুটি কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই সুপারসহ পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে এ দণ্ড দেন আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নোমান হোসেন।
শনিবার দুপুরে কালারমারছড়া মইনুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসায় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ সময় মুঠোফোনে প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস করা এবং হলের বাইরে থেকে খাতা লিখিয়ে আনার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত বসিয়ে ষাইটমারা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. নেজাম উদ্দিন ও ধলঘাট হোছাইনিয়া বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবু তালেবকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন তিনি। একই সময়ে পরীক্ষার খাতা বাইরে নিয়ে গিয়ে লেখার দায়ে মইনুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) আবু সাঈদ ও ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র সাজেদুল করিমকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া পরীক্ষার খাতায় লিখে দেওয়ার অপরাধে এক পরীক্ষার্থীর মা জাহানারা বেগমকে (৩৮) এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নোমান হোসেন জানান, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে মুঠোফোন নিষিদ্ধ। এরপরও মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস করার দায়ে পাবলিক পরীক্ষা সমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ সালের ৯ এর ক ধারা অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই সুপারকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছি। আর বাইরে খাতা নিয়ে লেখার অপরাধে অফিস সহায়ক ও এক ছাত্রকে ছয় মাস করে এবং পরীক্ষার খাতায় লিখে দেওয়ার অপরাধে এক ছাত্রীর মাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’
মহেশখালীর কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত