অনলাইন ডেস্ক।
বিয়ের দ্বিতীয় ইনিংসও টিকল না ইমরান খানের। টিভি সাংবাদিক রেহাম খানের সঙ্গে বিয়ে ভাঙল প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের। তা-ও আবার মাত্র ১০ মাসের মধ্যে! সোশ্যাল মি়ডিয়ায় দু’জনেই এই বিয়ে ভাঙার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
১৯৯৫ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন ইমরান খান। ব্রিটিশ সাংবাদিক, কোটিপতি জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে। সেই বিয়ে টিকেছিল ৯ বছর। বিচ্ছেদ হয় ২০০৪-এর জুনে। তাঁদের দুই ছেলে। ২০১৫-র জানুয়ারিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান বিয়ে করেন বিবিসি-র প্রাক্তন সাংবাদিক রেহামকে। ইমরান তখন ৬২। রেহাম ৪২। কিন্তু এ বার বছরও ঘুরল না।
তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর মুখপাত্র নইমুল হক বলেন, ‘‘হ্যাঁ বিচ্ছেদের খবরটি সত্যি। ইমরান এবং রেহাম খানের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। দু’জনেই পরস্পরের সম্মতিতে আইনি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।’’
রেহাম খানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইমরান টুইট করেন, ‘‘আমার, রেহাম এবং আমাদের পরিবারের কাছে এটা খুব দুঃখের সময়। আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করছি।’’ ইমরান আরও বলেন, ‘‘রেহামের নৈতিক চরিত্রের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য এবং তাঁদের জন্য কিছু করার জন্য রেহামের যে আবেগ, তা-ও আলাদা করে সম্মানের দাবি রাখে।’’ রেহামও টুইট করে বলেন, ‘‘আমি এবং ইমরান আলাদা রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
এই হাই প্রোফাইল বিচ্ছেদের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বিশাল অঙ্কের খোরপোষ নিয়ে নানা জল্পনা। তবে ইমরানের দাবি, এই সব খবর ভিত্তিহীন এবং লজ্জাজনক। এই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও রকম গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন নইমুল হকও।
গুজব না ছড়ালেও সোশ্যাল মিডিয়ার দখল নিয়েছে এই বিচ্ছেদ। ‘বিহারের ভোট তো ইমরানের বিবাহিত জীবনের থেকে বেশি দিন চলছে’, ‘অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে ইমরান তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিলেন’, ‘ইমরানের দ্বিতীয় ইনিংসটা বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল’ — এমন সব টুইটার-মন্তব্যে সরগরম দু’দেশ। সূএ:আনন্দবাজার
পাঠকের মতামত