প্রকাশিত: ২৯/১০/২০১৫ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে মুগ্ধ বিদেশী পর্যটন মন্ত্রীবর্গ

12188400_1684374291808716_577906642_n_1 copy
প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুঃ কক্সবাজারের রামুর দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে মুগ্ধ হলেন বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশী পর্যটক মন্ত্রীবর্গ।
২৯ অক্টোবর সকালে তাঁরা রামু পরিদর্শনে আসেন। প্রথমে তাঁরা সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও ভুবনশান্তি ১০০ ফুট গৌতম সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি পরিদর্শনে যান। বিহারে উপস্থিত হলে বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত করুণাশ্রী থের’র নেতৃত্বে ভাবনা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সিপন বড়ুয়া, অনলাইন পোর্টাল কক্সনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নির্বাহী সম্পাদক দুলাল বড়ুয়া এবং রামু নিউজ ডটকম এর প্রধান সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া প্রমূখ অতিথিদের স্বাগত জানান।
এসময় তারা একুশে পদকে ভূষিত, উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এবং তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ
করেন।
পরে সেখান থেকে ঐতিহাসিক তীর্থধাম রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে যান। বিহারে উপস্থিত হলে বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত জ্যোতিসেন থের’র নেতৃত্বে সঞ্জয় বড়ুয়া, প্রসেনজিৎ বড়ুয়া এবং সুরেশ বড়ুয়া প্রমূখ অতিথিদের স্বাগত জানান। বিহার পরিদর্শন শেষে সকাল ৯ টার দিকে তাঁরা রামু ত্যাগ করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও-এর সেক্রেটারি জেনারেল তালিব রিফাইও। বে-সামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ
খান মেনন ও সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমূখ।
রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে তাঁদের সাথে ছিলেন জিওসি ১০ পদাতিক হাসান মাহমুদ, রামু-কক্সবাজার সদর ৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার
কমল, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ
প্রমূখ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।
উল্লেখ, বৌদ্ধ ঐতিহ্য ভিত্তিক পর্যটন বিকাশে জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের বে-সামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন
মন্ত্রণালয় দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভূটান, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকাসহ তেরটি দেশের পর্যটন মন্ত্রীবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা রামুর বৌদ্ধ ঐতিহ্য সমূহ পরিদর্শনে করেন।

পাঠকের মতামত