
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) রাঙামাটি জেলা শাখার নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এবং শাখার কার্যনির্বাহী পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচন ২০১৫-২০১৮ আগামী ৩১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টার সময় কোর্ট বিল্ডিং এলাকার রাঙামাটি শাখার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এফপিএবি রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের নামের তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। সভাপতি’র ১টি পদে প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংসদ সদস্য জে এফ আনোয়ার চিনু, কেন্দ্রীয় যুব লীগের নেতা ও বর্তামান কার্যনিবাহী কমিটির অবৈতনিক সাধারন সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী সৈয়দা নুরুন নাহার ৩জন প্রার্থী রয়েছে। রাঙামাটি জেলা এফপিএরি’র ঘোষিত তফসিলে বলা হয় শাখার নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালা প্রকাশের তারিখ ছিল ১৪ অক্টোবর, খসরা ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৫ অক্টোবর, সংশোধনী ও আপত্তি ১৮ অক্টোবর, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৯ অক্টোবর, মনোনয়ন পত্র বিতরণ ও গ্রহণ ২০ অক্টোবর ও নির্বাচন ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২.০০ থেকে বিকাল ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত।এবারে রাঙামাটি জেলা শাখা এফপিএবি’র নির্বাচন ২০১৫ -২০১৮ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট পরিতোষ কুমার দত্ত ও এফপিএবি জেলা কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দিনকে। জানা গেছে এই নির্বাচনের বিষয়ে রাঙামাটি এফপিএবি শাখার আজীবন সদস্য, সাধারন সদস্য ও যুব সদস্যরা তেমন কিছুই জানেন না। রাঙামাটি জেলায় অরাজনৈতিক সংঘঠন গুলিতে রাজনৈতিক নেতারাই চর দখলের মত করে পদ পদবী দখল করে আছেন। স্থানীয় রাঙামাটি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, রাঙামাটি ডায়বেটিকস সমিতি, জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতি, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি, জেলা মিডিয়া কর্মীদের সংগঠন, আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহারগুলি জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও তাদের স্বজন এবং অনুসারীদের দখলে রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অভিজ্ঞ প্রবীন ব্যক্তি বলেন, রাঙামাটি জেলার এমন কোন অফিস, আদালত, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাকি নাই যেখানে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা দখল করেন নাই, তারা তাদের ধৈতা পেতে প্রায় কমিটিতে দেখা যায়, বিএনপি, স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ও জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্যানেল গঠন করেন। এতে তাদের অপকর্মের বৈধতা পায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পিছনে কারো না কারো বিগত দিনের মেধা ও শ্রম রয়েছে কিন্তু জেলার স্থানীয় আওমীলীগ নেতারা আজ যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে তাদের অবজ্ঞা করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান গুলির লাভজনক পদ পদবী দখলের অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন এদের কাছে নৈতিকতা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নাই। এসব নেতাদের পরামর্শ দিয়েও কোন লাভ হবেনা।
রাঙামাটি জেলা এফপিএবি’র এবারে নির্বাচনে ২৯ জন বিভিন্ন পদে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। জেলা এফপিএবি সুত্র জানায়, আজীবন সদস্য ১৪৬ জন, সাধারন সদস্য ২৯ জন ও যুব সদস্য ১৪৪ জন মোট ৩১৯ ভোটার তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতায় ভোট প্রয়োগ করবেন।
একটি সুত্র জানায় জেলা এফপিএবি’র নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী তিন জনই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা। তাই বিজ্ঞ মহলের ধারণা প্রতিটি পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় নাটকীয়ভাবে ৫ দিনের ভিতরে পদ পদবী রফাদফার ও ভাগ ভাটোয়ারা হয়ে যেতে পারে এবারের রাঙামাটি জেলা শাখার এফপিএবি’র নির্বাচন২০১৫-২০১৮।
পাঠকের মতামত