অনলাইন ডেস্ক:
“এর চেয়ে ভালো শুরু আমি স্বপ্নেও দেখতে পারতাম না।” কথাগুলো বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ডান হাতি ফাস্ট বোলার কাগিসু রাবাদা। বয়স মাত্র ২০। কিন্তু মাঠে নামলে তার ওপর থাকছে সবার চোখ। এক মৌসুমও ঠিক মতো খেলেন নি ঘরোয়া লিগে। সবার ঠোটেই তার নাম। ভারতের মাটিতে নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বল করছেন। তার স্বপ্ন ১৬০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বল করা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে চতুর্থ আন্তর্জাতিক সফরে এই পেসার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রত্যেক ম্যাচই খেলেছেন।
রাবাদা তার অসাধারণ শুরুর ব্যাপারে বলেন, “আমার মনে হয় আমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। মনে হয় না নিজেকে চিমটি কাটলে স্বপ্ন থেকে জেগে উঠবো।” তার ২০ বছর বয়সী কাঁধের ওপর অনেক পরিপক্ক একটি মাথা আছে বলেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের খেলোয়াড়দের বিশ্বাস। রাবাদার সাবেক বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড আর ওয়ানডে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে বোলার। কিন্তু তারপরও সতর্কভাবে তাকে চালাতে হবে।
২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ থেকে তার উত্থান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা ছিল তার। এর পরই ফ্রাঞ্চাইজি চুক্তি পেয়ে গেছেন। রাবাদা বলেছেন, “যদি চুক্তি না পেতাম তাহলে আমি হয়তো সৌখিন ক্রিকেট খেলতাম আর আইন বিষয়ে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। পড়াশুনাকে বাতিল করে দেইনি। আরো পড়ার আগ্রহ আছে আমার।”
১০ বছর আগে প্রথম ব্যাট বল হাতে নেন রাবাদা। তার দাদী ক্রিকেটের বড় ভক্ত। তিনিই ক্রিকেটে আগ্রহী করে তোলেন রাবাদাকে। তার মানসিকতায় ক্রিকেটের বীজ রোপন করে দেন। নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে রাবাদা বলেন, “অল্প বয়স থেকেই আমি প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে চেয়েছি। ছোটোকাল থেকে যারা আমার হিরো তাদের সাথে খেলা অসাধারণ ব্যাপার। তাদের সাথে থাকাটাই অন্যরকম। আমি অন্য কারো মতো হতে চাই না। আমি আমার মতো হতে চাই।”
গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে এসে অভিষেকেই অনেক রেকর্ড গড়ে ফেলেন রাবাদা। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে হই চই ফেলে দেন। এখন পর্যন্ত ৮ ওয়ানডেতে ১৪ উইকেট তার। গড় ২৩.৫৭। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রাবাদার টি-টোয়েন্টি অভিষেক। এ পর্যন্ত আট ম্যাচে পেয়েছেন ৯ উইকেট।
তরুণ এই বোলারকে সবাই সমীহের সাথেই খেলছে। কাচা গতি তার বোলিংয়ে। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ভালো। ভারতের ফ্ল্যাট পিচেও নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বল করে চলেছেন। তার ইচ্ছে ঘণ্টায় ১০০ মাইলের মাইলফলক স্পর্শ করার। রাবাদার ভাষায়, “আশা করি আমি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারবো। জিমে গেলে আমার অ্যাকশনের সাথে শরীর মানিয়ে চলতে পারবে।”
পাঠকের মতামত