
মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এ ক্ষতিগ্রস্ত ঈদগাঁওর ৫শ হতদরিদ্র পরিবার শর্তবিহীন অর্থ সহায়তা পেতে শুরু করেছে। কর্মসূচীর প্রথম দিনে ১৭৪টি পরিবার এ অর্থ সহায়তা লাভ করেছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এ ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার জেলার জনগোষ্টির জন্য জরুরী সহায়তা প্রকল্পের অধিনে বেসরকারী সংস্থা ‘দিশারী’ এ কর্মসূচী গ্রহণ করে। ইউরোপীয় কমিশন (ইকো)-র অর্থায়নে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এবং ডানচার্চ এইড (ডিসিএ) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সংস্থার উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী শর্তবিহীন উক্ত অর্থ বিতরণ কর্মসূচী ২০ অক্টোবর সকালে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে। কর্মসূচীর উদ্বোধন ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী। উপস্থিত ছিলেন ‘দিশারী’র কনসোর্টিয়াম ম্যানাজার মো. আলমগীর রহমান, মনিটরিং ও ইভাল্যুায়েশান অফিসার শাহরিয়ার মামুন, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ম্যানাজার মো. মুর্তুজ আলী, স্থানীয় মেম্বার আবদুল হাকিম, যুবনেতা মিজানুল হক, ঈদগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সাংবাদিক এম. ছরওয়ার সিফা, সাংবাদিক মো. হামিদুল হক প্রমুখ। প্রথম দিন ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১৭৪ টি পরিবারের মধ্যে পরিবার প্রতি ৩ হাজার টাকা হারে মোট ৫ লক্ষ ২২ হাজার টাকা নগদ বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ৩২৬ টি পরিবারের মধ্যে ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে। প্রতি পরিবারকে ৩হাজার টাকা হারে মোট তিন মাস এ নগদ অর্থ দেয়া হবে। পরের দু’মাসের টাকা স্ব স্ব বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা তোলতে পারবেন। উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান কমিশন বেসরকারী সংস্থা ‘দিশারী’র মাধ্যমে লন্ডন ভিত্তিক ডেনচার্চ এইড, ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং এসিএফ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে উক্ত প্রজেক্ট জেলায় চালু করেছে। আর সংস্থা ৩ টি স্থানীয় ভাবে কর্মরত এনজিও সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অগ্রযাত্রা ও মুক্তি কক্সবাজারের মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সদরের ঈদগাঁওর ৫শ পরিবার, চৌফলদন্ডীর ৪৯৪ পরিবার এবং পোকখালীর ৪০৬ পরিবার এ কর্মসূচীর আওতাভূক্ত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া টেকনাফ এবং রামুতেও তাদের অনরূপ কর্মসূচী রয়েছে।
পাঠকের মতামত