প্রকাশিত: ০৮/১০/২০১৫ ৭:৫১ অপরাহ্ণ
ঈদগাঁও প্রতিনিধি::
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সদরের ইসলামপুরের বাসিন্দা মুঃ দেলোয়ারের ছোট ভাই চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের সাথী মুঃ লুৎফর রহমানের সাথে সেলফি তুলেছে ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নওশাদ মাহমুদ। ছবিটি কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দা ও বহিষ্কারের ঝড় উঠে। জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের পুত্র নওশাদ মাহমুদ সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকে জামায়াত বিএনপির সাথে গোপনে আঁতাত করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন জনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়সহ মারধরও করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাস পূর্বে ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা এলাকায় এক ফেরিওয়ালাকে জিম্মি করে রেখে ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে লিপ্ত রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত ঘরানার এ সভাপতি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের পাশাপাশি শিবির নেতাদের সাথে গোপনে বৈঠক ও করছে বলে ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের নেতা ২০০৯ সালে অস্ত্রসহ চকবাজার শিবিরের পরিচালিত ফোকাস কোচিং সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগকারী লুৎফর রহমানের সাথে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীদের নজরে পড়লে ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে উক্ত সভাপতি নওশাদ মাহমুদকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে সংগঠনের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছে। এ ব্যাপারে উক্ত নওশাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে লুৎফর রহমান তার নিকটতম আত্মীয় বলে এড়িয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ এক নেতা জানান, বিষয়টি উচ্চ মহলে জানানো দরকার। তাছাড়া জেলা কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ারও অভিমত ব্যক্ত করেন।
পাঠকের মতামত