

সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা ॥
টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হ্নীলা ইউনিয়নে বাদপড়া ও নতুন ভোটার তালিকা অর্ন্তভূক্তদের ছবি তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এত কড়াকড়ির মধ্যেও নানা কৌশলে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ছবি তোলার হিড়িক পড়ায় ১০/১৫টি ফরম বাতিল করেছে নির্বাচনী কর্মকর্তা।
সরেজমিনে জানা যায়-২অক্টোবর সকাল ৮টা হতে টেকনাফের হ্নীলা ২নং ইউনিয়ন পরিষদের বাদপড়া ও নতুন অর্ন্তভূক্তিসহ প্রায় ১হাজার ৭শ নারী-পুরুষ ভোটারের ছবি উত্তোলনের কাজ হ্নীলা সরকারী প্রাইমারী স্কুলে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টারদিকে শেষ হয়। ছবি উত্তোলনের সময় থেমে থেমে হৈ ছৈ ও বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু আইন-শৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করলেও প্রায় এলাকা হতে রোহিঙ্গা ভোটার ছবি উত্তোলনের জন্য নানা কলা-কৌশলের আশ্রয় নেয়। এই জন্য কতিপয় তথ্য সংগ্রহকারী,সুপার ভাইজার, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের ব্যবহার করে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ভোটার ছবি উত্তোলন করেছে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গার অভিযোগ থাকায় ১০/১৫টি ভোটার তথ্য ফরম জব্দ করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ভোটার হতে আসা অনেকের ব্যাপারে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি অবগত নয় জানিয়ে বলেন এসব নারী-পুরুষেরা কিভাবে ভোটার হতে আসে তা স্ব স্ব এলাকার তথ্য সংগ্রহকারী, সুপার ভাইজার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ ভালভাবে বলতে পারবে। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান-ছবি উত্তোলনের সময় স্ব স্ব মেম্বারেরা অভিযোগ করায় ৮/১০টি ফরম জব্দ করা হয়েছে। হ্নীলা ইউপি সচিব হাকিম উদ্দিন পাহাড়ীর নিকট জানতে চাইলে বলেন-ছবি উত্তোলনের সময় প্রায় ১৬টি ফরম জব্দ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কি কারণে এসব ঘটনা ঘটল তা বলতে পারেনি। অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয়দের টাকা-পয়সার বিনিময়ে বশীভূত করে আতœীয় পরিচয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ নিয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন কথিত তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপার ভাইজারদের রহস্যজনক কারণে রোহিঙ্গা নানা কৌশলে ভোটার হতে ছবি উত্তোলন করে গেছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে এসব কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্থিমুলক পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা হতে বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত