
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::
আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে যেসব শিক্ষকরা তিনবছরের বেশী সময় ধরে পৌর এলাকার ভিতরে শিক্ষকতা করে আসছেন তাদের প্রত্যাঞ্চলের স্কুলগুলোতে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে। কারণ শিক্ষার মান যাচাই বাছাই করার জন্য রদবদল করা অপরিহার্য বলে বলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। গত মঙ্গলবার বিকেলে টিআইবি-সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও জেলা পরিষদের যৌথ আয়োজনে পৌর টাউন হল মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সদর উপজেলা, দীঘিনালা, পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতিদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছে আবার কিছু কিছু বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকও নেই। এতে করে প্রত্যাশিত শিক্ষার মান অর্জিত হচ্ছে না। আর যেসব শিক্ষকগণ কর্মস্থলে না গিয়ে বর্গা শিক্ষক দিয়ে মাসের বেতন গুণছেন তাঁরা সর্তক হয়ে যান। নিজেদের আত্মশুদ্ধি করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা নীতি গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারীকরণ করা হয়েছে। এবং অদূর ভবিষেৎ পর্যায়ক্রমে সবকটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হবে। শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, আমার সময়েই আমি পার্বত্য জেলা পরিষদকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় এনেছি। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগসহ সবকটি নিয়োগে যোগ্য ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের আশ্বাসও দেন তিনি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য মংক্র্যচিং চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, সনাক সভাপতি প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, সনাক সদস্য প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, মো: জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়–য়া, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, শিক্ষক প্রতিনিধি দিলারা বেগম, স্বপন চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন কবির।
বক্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষেৎর সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রাথমিক স্তর হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। যে শিশুর প্রাথমিক স্তর পাকাপুক্ত সে শিশুর উচ্চ শিক্ষার স্তরগুলো আরও বেশী সুগম হয়।
মতবিনিময় সভায় চার উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চল থেকে প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতিসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষকরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী, দপ্তরি, পিয়ন, শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদানের অনুরোধ জানান।
পাঠকের মতামত