
বিশেষ প্রতিবেদক ॥
১৩ সেপ্টেম্বর একাধিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে এ বিষয়ে মাদ্রাসা ও জেলাব্যাপী তোলপাড় চলছে।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেদের উপস্থিতিতে প্রতারক সুদর্শন বড়ুয়া ওরফে অপূর্ব আহমেদ অপু’র জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ একাধিক ডকুমেন্ট উখিয়ার জনৈক কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে যাচাই-বাছাই কালে একটির সাথে অপরটি কোন মিল পাওয়া যায়নি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত এ প্রতারক শিক্ষককে স্থায়ীকরণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং সনদ জালিয়াতির বিষয়ে কোন মিল পাওয়া যায়নি মর্মে উখিয়া প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম উখিয়া নিউজ ডটকমে প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যমে শাক দিয়ে মাছ ডাকার মত অপচেষ্টার সামিল ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রতারক অপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতার নামে প্রতারণার ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মাও: আবদুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তার সনদের মিল পাওয়া যায়নি বলে সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ইতিপূর্বে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু অবগত ছিল না সংবাদ প্রকাশের পর অবগত হয়ে তার ফাইল জব্দ করা হয়েছে এবং সকল সনদ যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ইতিপূর্বে উক্ত সুদর্শন বড়ুয়া ওরফে অপূর্ব আহমেদ অপু জালিয়াপালং ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়া স্বত্ত্বে কিভাবে সোনার গ্রামের দিদার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ অপু হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে এ ব্যাপারে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম বলেন ২১/১১/২০০৩সালে তিনি কর্মরত ছিলেন না সেই সুবাধে কিভাবে ইস্যু করা হয়েছে এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। ইউ.পি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরীর সাথে (০১৮১৭০১৭২৬৩) যোগাযোগ করা হলে, জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য আবু তাহের বলতে পারবেন বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থায়ী শিক্ষক হাজিরায় অপুর স্বাক্ষর অদ্যবধি পর্যন্ত
জালিয়াপালং ইউনিয়ন থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যূ করে পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরীর জন্য পুনরায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপূর্ব আহমেদ অপু নামে জাতীয়তা সনদ নিয়ে জালিয়াতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে এবং জালিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী শিক্ষিকা কুররাতুল আইন লাকী নামে এক মহিলা শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দাপ্তরিক ভাবে নিজের নামে করার অপতৎরপতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এছাড়া গত রমজান মাসে উক্ত নারী লোভী অপু বাসায় নিজের স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে উখিয়ায় অবস্থানরত জনৈক সিকদারের মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুদর্শন বড়ুয়ার ওরফে অপূর্ব আহমেদ অপু’র ছোট ভাই রুবেল বড়ুয়া তারা ৩ ভাই এবং বড় ভাইয়ের নাম সুদর্শন বড়ুয়াবলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। পূর্ণেন্দু বড়–য়া নামে তার কোন রক্ত সম্পর্কে কোন নিকটাতœীয় নেই বলেও তিনি জানান। তার বড় ভাই সুদর্শন বড়–য়া দীর্ঘদিন পূর্বে ধর্মান্তরিত হওয়ার নামে উখিয়ায় একাধিক নারীর সাথে যৌন কেলেঙ্কারী ও বিয়ের নামে প্রতারণা সহ ভুঁয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং একাধিক সনদ জালিয়াতির বিষয়ে তিনি অবগত আছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে এব্যাপারে অনেক কাহিনী আছে কিন্তু এ সব বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় ছোট ভাই রুবেল বড়–য়া তবে এসব প্রতারণা ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে উখিয়া ও বান্দরবান থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন।
জীবনের শুরু থেকে সুদর্শন বড়ুয়া ওরফে অপূর্ব আহমেদ অপু’র এহেন নারী কেলেঙ্কারী, দূর্নীতি ও প্রতারণা মূলক কর্মকান্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল।
পাঠকের মতামত