মুহাম্মদ ইদ্রিস, কোটবাজার (উখিয়া) ॥
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা প্রভাবশালী বালিখেকুদের সিন্ডিকেট অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় চিহ্নিত কিছু দুস্কৃতিকারী প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রণে চলছে অবৈধ বালি উত্তোলন। অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকিসহ এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী বালি খেকুদের চেপটখালী খাল ডিজিটিাল মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ বালি উত্তোলন করে ট্রাক ও ডাম্পার যোগে পাচার করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবে এসব বালি খেকুদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা মোটা অংকের মাসোহারার নিয়ে এ অবৈধ বালি উত্তোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরজমিন উপকূলীয় এলাকা চেপটখালী পরিদর্শন করে প্রভাবশালী কর্তৃক অবৈধ বালি উত্তোলনের ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেপটখালী খালের উত্তর-দক্ষিণ পাড় থেকে ২০/২৫ জন শ্রমিক দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে মহোৎসবে মেতে উঠেছে বালি খেকুরা। স্থানীয় মনখালী এলাকার নুরুল হুদার পুত্র বালিখেকু তারেক আজিজের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি প্রভাবশালী বালিদস্যু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এ অবৈধ বালি উত্তোলন কার্যক্রম পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে চোয়াংখালী এলাকার মৃত মো: হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলাম ভূট্টো, চেপটখালীর ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মো: মুফিজ, জহির আহমদের পুত্র মো: জলিল, ডালিম, গোলাম কবিরের পুত্র আবদুল মান্নান, অলি আহমদের পুত্র ছৈয়দ উল্লাহ ও নূর নবীর বিশাল বালিদস্যু সিন্ডিকেট চেপটখালী খাল থেকে কোন ধরনের প্রশাসনের আইন তোয়াক্কা না করে অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এলাকায় এরা আবার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক প্রকার অসহায় বোধ করেন। স্থানীয়রা জানান, চেপটখালী খাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে খালের পাড় ভেঙ্গে শত শত পরিবার তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা অবিলম্বে এসব দুস্কৃতিকারী অবৈধ বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল, উপকূলীয় এলাকার খাল ও পাহাড় কর্তনকারী এসব পরিবেশ বিধ্বংসী লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। হোয়াইক্ষ্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা সুনীল কুমার বড়–য়া বালি উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, বালি উত্তোলনকারী বালি উত্তোলন করে গাড়ি যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় ৫ গাড়ি বালি জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈনুদ্দিন জানান, চেপটখালী খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা বালি উত্তোলনে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা রুজু করা হবে।
পাঠকের মতামত