প্রকাশিত: ০৮/০৯/২০১৫ ২:০২ অপরাহ্ণ
উখিয়ায় ১৮ টি অবৈধ করাত কলে দিন রাত চিরাই হচ্ছে সরকারী বাগানের মূল্যবান কাঠ

এম বশর চৌধুরী উখিয়া (কক্সবাজার):
উখিয়া উপজেলায় ১৮ টি অবৈধ করাত কলে দিন রাত চিরাই হচ্ছে সরকারী বাগানের মূল্যেবান কাঠ। সংঘবদ্ধ কাঠ চোর সন্ত্রাসীরা বন বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে মাসের পর মাস এসব অবৈধ করাত কল চালু রেখে সরকারী বনায়নের অপুরনীয় ক্ষতি সাধন সহ পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করে আসছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন বন কর্মকর্তাগণ বিষয়টি অবগত থাকা সত্ত্বেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বন বিভাগের এবং আইনের শাসনের প্রায়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার ২ টি রেঞ্জ ও ১১ টি বন বিটের অধীনে সরকারী বনভূমি রয়েছে ৩৪ হাজার ৪ শত ৫০ একর। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক উখিয়ার এক অবসর প্রাপ্ত বন কর্মকর্তা জানান, এক সময় উখিয়ার সংরক্ষিত বনঞ্চলে হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যেবান কাঠ ছিল। আশির দশকে এ বনঞ্চল সারা দেশে মডেল হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। তৎসময়ে এ বনে বাঘ, ভালুক, হাতি, হরিণ, উলুক, হনোমান, বানর সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণীর আভাস স্থল ছিল। এখনতা কেবল সোনালী অতীত।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বনাঞ্চল নিধনের ক্ষেত্রে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হচ্ছে, অবৈধ করাত কল। যত্রতত্র অবৈধ করাত কল হওয়ায় সংঘবদ্ধ কাঠ চোরেরা সরকারের সংরক্ষিত বাগানের মূল্যবান গাছ কেটে করাত কলে সাইজ করে কক্সবাজার, রামু, চকরিয়া , চট্টগ্রাম, কুমিলা ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনায়াসে নিয়ে যাচ্ছে। উখিয়ার বনঞ্চল থেকে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার মূল্যবান কাঠ অবৈধ করাত কলে চিরাই করে পাচার হয়ে থাকে। প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানিয়েছেন, উখিয়ার টাইপালং এ ১ টি ফলিয়া পাড়ায় ৩ টি হাজির পাড়ায় ২ টি,মধুরছড়ায় ২টি, রতœা পালংয়ে ২টি, মরিচ্যায় ২টি, গোয়ালিয়া পালং এ ১ টি, থাইংখালীতে ১ টি , কুতুপালং এ ২ টি, পালং খালীতে ১টি ও খুনিয়াপালং এ ৩ টি সহ মোট ১৮ টি অবৈধ করাত কল রয়েছে। রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় থাকা কতিপয় বনদস্যু ও রাষ্ট্রদ্রোহী লোক এসব করাত কলের অ-ঘোষিত মালিক। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অুেিযাগ উঠেছে কতিপয় দুর্নীতি বাজ বন কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে উক্ত অবৈধ করাত কল গুলো স্থাপন করছে ।পরিবশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, অবৈধ করাত কলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে মুিষ্টমেয় লোক লাভবান হলেও বিরাট জন গোষ্টী তথা সরকারের ক্ষতি হচ্ছে বেশী । জনস্বার্থ এবং সরকারী সম্পদ রক্ষার স্বার্থে অভিলম্বে এসব অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল । অন্যতায় উখিয়ার বনাঞ্চল বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে। উখিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জানান, উখিয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অনেক করাত কল উচ্ছেদ সহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে । এছাড়াও টাস্ক ফোর্স কমিটিরর সমন্বয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।সরকারী বাগানের মূল্যবান কাঠ

পাঠকের মতামত

  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • চকরিয়ায় থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার
  • বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-ট্রাষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠিত
  • উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু