
চ্যানেল আই::
সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল বাতিল হওয়ার ক্ষতির চেয়ে বরং পে স্কেলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাভবান হবেন মনে করছেন অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ।
নতুন স্কেলে বাড়তি অর্থ পেতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলেও ধারণা সিনিয়র ওই সচিবের। তবে বেতন বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতির আশংকা নাকচ করেছেন তিনি।
সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল নিয়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিলো। সরকারী চাকরিজীবীদের একটা বড় অংশ এটা বহাল রাখার বিষয়ে দফায় দফায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে টাইম স্কেল এবং উচ্চতর স্কেল।
এর বদলে গ্রেড ভেদে ৩.৭৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়েছিলো।
এই সময়ে অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, কাজেই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার হিস্যা পাওয়ার দাবীদার বলে মনে করছেন অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ।
তিনি বলেন, স্ট্যাটিসটিক্যালি দেখা গেছে পে স্কেলের পরেও বড় ধরণের কোনো মূল্যস্ফীতি হয়নি। গত ছয় বছরে দেশে ভালো রকমের একটা প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থনীতিতে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ শতাংশ দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এবং এ প্রবৃদ্ধির জন্য উন্নয়নের যে অনান্য উপকরণগুলো আছে সবগুলো উপকরণই প্রবৃদ্ধি প্রিমিয়াম পেয়েছে।
‘এ প্রবৃদ্ধি প্রিমিয়ামের একটা অংশ সরকারী চাকুরিজীবীদের প্রাপ্য। সেই তিনটি পয়েন্ট অব ভিউতে, এই মূহুর্তে যে পে স্কেল দেওয়া হয়েছে তা সময়োপযোগী ও পরীক্ষিত।’
বর্ধিত বেতন-ভাতা বাজারে সরবরাহ-ও চাহিদা ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ সচিব জানান, এ বছর আমাদের বাজেটের পরিমাণ হলো ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যা সংসদ অনুমোদনও করেছে। এই যে নতুন টাকাটা বেতন-ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে সেই টাকাটা এই বাজেটের পরিমাণে ধরা রয়েছে। অর্থাৎ এ জন্য নতুন কোনো অর্থের যোগান দিতে হবে না।
নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ সরকারের খরচ হবে ৬০ হাজার ৩’শ ৫৬ কোটি টাকা।
পাঠকের মতামত