
চট্টগ্রাম :
কোথাও হাঁটু সমান কোথাও আবার কোমর সমান পানিতে থমকে আছে পাঁচ শতাধিক বাস, প্রাইভেটকার ও রিকশা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যানবাহনগুলো একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মঙ্গলবার সকাল সকালে দিকে বন্দর নগরীর মুরাদপুর-২ নম্বর গেইট সংলগ্ন ষোলশহর এলাকার দৃশ্য এ রকমই ছিল। জলজট থেকে তীব্র যানজটের এমন চিত্র শুধু ষোলশহর এলাকায় নয়, বরং এটি পুরো শহরের তীব্র যানজটের একটি প্রতিকী চিত্র মাত্র!
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিম খান বাংলামেইলকে বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত এ প্রভাব থাকতে পারে।
নগরীর মোহরা, ষোলশহর, ২নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, প্রবর্তক, অক্সিজেন, হামজারবাগ, আতুরার ডিপো, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, নাসিরাবাদ, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, খাজা রোড, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, মিয়াখান রাত্তারপুল, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জসহ শহরের বেশিরভাগ নিচু এলাকার কোথাও হাঁটু সমান কোথাও আবার কোমর সমান পানি দেখা গেছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন ছাড়াও সাধারণ পথচারীরাও চড়ম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বৃষ্টি আর সড়কে জমে থাকা পানির কারণে অফিসসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়েও গাড়ি পাচ্ছেন না লোকজন। গাড়ি পাওয়া গেলেও উচ্চ ভাড়া হাঁকাছেন চালকরা। আর যেখানে পানি জমে আছে সেখানে ভ্যান ছাড়া অন্য কোন পরিবহনের দেখা মিলছে না।
কোথাও ছোট-বড় গর্ত, কোথাও কার্পেটিং উঠে গেছে, কোথাও আবার এটি সড়ক কিনা তা বোঝার উপায় নেই। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ রাস্তার এমন বেহাল দশা। সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কাদা যুক্ত হয়ে পুরো শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে নরকের অবস্থা। টানা বৃষ্টি আর জলজটের কারণে এবড়ো-থেবড়ো এসব রাস্তায় চলা যেমন দায়, তেমনি কাদা পানিতে আটকে যাওয়া গাড়ি ও ছোটখাটো দুর্ঘটনায় থমকে গেছে যেন পুরো বন্দর নগরী!
পাঠকের মতামত