তানজীমা এলহাম বৃষ্টি::
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। স্বর্ণের দাম এখন গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। শুধু তাই নয়, ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম এতো কমলো। কিন্তু দাম কমার পরেও স্বর্ণ কিনে ঠকছেন দেশের ক্রেতারা, কারণ আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের পার্থক্য।
আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারেও। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে স্বর্ণের দাম সংশোধনের দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গত ৬ আগস্ট সর্বশেষ স্বর্ণের দাম কমিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকা। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি এই দাম ছিলো ৪১ হাজার ২৩২ টাকা। অর্থাৎ এর মাঝে ৬৪ বার দাম ওঠানামা করলেও বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম ৫ বছর আগের দামে ফিরে গেছে।
স্বর্ণের দাম কমায় গহনার দোকানগুলোর দিকে ফিরছেন ক্রেতারা। কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গহনাটি। অনেকে আবার অপেক্ষা করছেন দাম আরো কমার।
তবে দাম কমায় আপাত লাভ হলেও স্বর্ণ কিনতে গিয়ে আসলে এক দিক দিয়ে ঠকছেন ক্রেতারা। ৬ আগস্ট বাজুসের স্বর্ণের দাম ঘোষণার দিন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিলো ১ হাজার ৯০ মার্কিন ডলার ২০ সেন্ট। অর্থাৎ প্রতি ভরি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ছিলো প্রায় ৩২ হাজার দুইশ’ টাকা।
সে হিসেবে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম আসে ৩৭৪ ডলার ৪৯ সেন্ট বা ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকা। কিন্তু বাজুসের হিসেবে তা হলো ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকা। অর্থাৎ দাম যতোই কমুক, দেশের বাজারে স্বর্ণ কিনে ঠকতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
আন্তর্জাতিক ও দেশি বাজারে দামের পার্থক্য নিয়ে বাজুস নেতারা সবসময়ই সাংবাদিকদের বলেন, দেশে বৈধভাবে স্বর্ণ কেনাবেচার বাজার নেই। এ ক্ষেত্রে ভরসা থাকে লাগেজ পার্টি। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ওঠানামা করলেও সুফল বাংলাদেশ পায় না।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী এক বছরের মধ্যে স্বর্ণের দাম কমে ২০ হাজারের নিচে নেমে আসবে।
পাঠকের মতামত