
এম.এস রানা, উখিয়া:
ঢাকায় নিখোঁজ উখিয়ার মোঃ রিফাত (১১ কে দীর্ঘ ৮ মাস ৭ দিন পর চট্টগ্রামের অলংকার মোড় সিটি গেইট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজের মা নুর নাহার ও আত্মীয় স্বজন চট্টগ্রামে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তিনি উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ বাজার পাড়া গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের পুত্র। উখিয়া থানা এস আই মাজেদুল ইসলাম নিখোঁজ ছেলে রিফাতের উদ্ধারের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন।
জানা যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জাহান চৌধুরীর বড় ছেলে এডভোকেট তারেক মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী আইরিন মাহমুদ ভাড়া বাসায় ঢাকার গান্ডারিয়া থানার ৫৩/১ দীননাথ সড়ক লেনে বসবাস করত। ২০১৪ সালে উখিয়ার ছেলে রিফাতকে কাজের ছেলে হিসেবে ঢাকার বাসায় নিয়ে যায়। গত ১৮ নভেম্বর ২০১৪ সালে বাসা থেকে কাজের ছেলে রিফাত হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্ত্রী আইরিন মাহমুদ গান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন। যার নং- ৭৫৯ তারিখ ১৯/১১/২০১৪ইং এবং তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেও দীর্ঘ সময় সন্ধান পাচ্ছিল না।
মা নুর নাহার বেগম জানান, নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেয়ে গত মঙ্গলবার আমি এবং প্রতিবেশী আত্মীয় ফরিদ চট্টগ্রামের অলংকার মোড় সিটি গেইট এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জাহান চৌধুরীর পরিবারের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। বরং তাদেরই সহযোগীতায় হারিয়ে যাওয়া আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। উদ্ধার হওয়া ছেলে রিফাত সাংবাদিকদের জানান, টিভিতে ভারতীয় স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে না দেওয়ায় রাতে বাসা থেকে আমি রাগ করে বের হয়ে যায়। রাস্তার ধারে দোকানের সামনে থেকে এক সিএনজির ড্রাইভার জোর করে তুলে নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৮ মাস ধরে আটকিয়ে রাখে। তিনি আরও বলেন, এক মহিলা কিছুদিন আগে আমাকে চট্টগ্রামের একটি বাসে তুলে দেয়। ওই বাস অলংকার মোড়ে নামিয়ে দিলে সিটি গেইট এলাকার এক মৌলভী লোক তার চায়ের দোকানে কাজ করতে নিয়ে যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদগাওর জৈনক বাসিন্দা গুড়ো দুধ কোম্পানীর চাকুরি করে সিটি গেইট এলাকায়। মূলত তার সহযোগীতায় নিখোঁজ রিফাতের সন্ধান পাওয়া যায়। উখিয়া থানার এস আই মাজেদুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া রিফাতকে তার মায়ের কাছে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এ সংক্রান্ত থানায় কোন অভিযোগ কিংবা মামলা নেই।
পাঠকের মতামত