অনলাইন ডেস্ক:
সবংয়ে সজনীকান্ত কলেজের ছাত্র কৃষ্ণপ্রসাদ জানা খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন সমর্থককে গ্রেপ্তারের পরেও তাদের পাশে দাঁড়ালেন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। রবিবার ঘনিষ্ঠ কিছু সাংবাদিককে নিজের দফতরে ডেকে ধৃত ছাত্রদের হয়ে সাফাই দিলেন পুলিশ সুপার। ছাত্রটি কীভাবে খুন হল , কে খুন করল সে প্রশ্ন এড়িয়ে মৃত ছাত্রের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত পুলিশ সুপার। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সৈফুল বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন সেই ভাবেই কথা বলছেন সুপার। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে গিয়ে মৃত কৃষ্ণপ্রসাদ কী খেত, কেন ছাত্র পরিষদ করত সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এই পুলিশ যতদিন এই জেলার দায়িত্বে থাকবে ততদিন সমাজবিরোধীদের রাজত্ব চলবে।
এদিকে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে কলেজের ভিতরের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সেখানেও সত্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, কাট-ছাঁট করে ফুটেজ দেখাচ্ছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের জি এস সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বললেন, যারা দোষী তাদের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। আর যে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটার ফুটেজ নেই। আমরা পুলিশের তদন্তের উপর আস্থা রাখতে পারছি না। দোষীদের আড়াল করে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ। তাদের বাঁচাতে চাইছে শুধু একটাই কারণে, দোষীরা সবাই তৃণমূলের ছেলে। অপর দিকে মৃত ছাত্র কৃষ্ণপ্রসাদ জানার দাদা নারায়ণ জানা প্রকৃত বিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।
পাঠকের মতামত