
এমপি কমল ও মেয়র সরওয়ারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামণা
কক্সবাজার শহরের এসএমপাড়া-গোদারপাড়া সংলগ্ন ‘শহর রক্ষা বাঁধ’ প্রবল বর্ষণে ভেঙে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে খর¯্রােতা বাঁকখালীতে। ভেঙে খান খান হয়ে গেছে সড়ক, উপ-সড়ক। নষ্ট হয়েছে অনেকের খেত-খামার। পলি এসে পড়েছে ফসলি জমিতে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অভ্যন্তরিন অনেক সড়ক যোগাযোগ। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে দীর্ঘদিনের বেড়িবাঁধ। এতে করে এসএমপাড়া-গোদারপাড়া এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ীসমূহ।
এ দিকে টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত শহর রক্ষা বাঁধ ও দুর্গত এলাকার এখনো খোঁজখবর নেননি কোন জনপ্রতিনিধি। যে কারণে তাদের উপর ক্ষুব্দ ওই এলাকার মানুষগুলো।
স্থানীয় মাস্টার মুহাম্মদ জানান, গত বন্যায় এসএমপাড়া ও গোদারপাড়া সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধটি ভেঙে গেছে। এ সময় অধিকাংশ ঘরবাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ে। দুই এলাকার অন্তত দশ হাজার মানুষ এখন চরম ঝুকিতে।
স্থানীয় সমাজসেবক মুজহেরুল ইসলাম জানান, বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যে চলাচলের পথ নদীতে মিশে গেছে। নদীতীরবর্তী বসতিগুলো ঝুঁকিতে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকাই নদীর বুকে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘আসলেই আমরা কপাল পোড়া লোক। ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা সুন্দর সুন্দর ওয়াদা দেন, জনগণের ভোট নেন। এরপর তারা এভাবেই যে উড়াল দেন, তাদের পাওয়াই মুশকিল।’
তিনি আরো বলেন, বিগত প্রবল বর্ষণে আমাদের ঘরবাড়ীতে পানি উঠেছে। এসএমপাড়া-গোদারপাড়া সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে গেল ঘরবাড়ী। নষ্ট হয়ে গেছে ফসলি জমি। অনেক বসভিটা নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কায়। কিন্তু এখনো জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নেননি।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র সরওয়ার কামালের ভূমিকা জানতে ফোন করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে এসএমপাড়া-গোদারপাড়া এলাকায় ভেঙে পড়া শহর রক্ষা বাঁধ ৯ আগষ্ট রবিবার বিকালে পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন। তারা ভাঙনের কবলে পড়া এলাকা দ্রুত রক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও পৌর মেয়র সরওয়ার কামালসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী জানান। অন্যথায় শহরের বিরাট একটি জনপদ নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাদের।
পরিদর্শনকালে ছিলেন সাবেক পৌর কমিশনার আবু জাফর ছিদ্দিকী, সমাজসেবক রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব রুহুল আমিন সিকদার, দৈনিক হিমছড়ির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সায়েদ জালাল উদ্দিন, তরুণ সমাজসেবক ব্যরিষ্টার আবুল আলা ছিদ্দিকী, ছাদেকুর রহমান, সমাজসেবক শাহজাহান, মাইটিভি কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি গোলাম আরিফ লিটন, সমাজসেবক শাহ আলম, বিজয় টিভি কক্সবাজার প্রতিনিধি ও দৈনিক ইনানীর মফস্বল সম্পাদক ইমাম খাইর, মাওলানা ফরহান উল্লাহ, ডা. আশীষ সিকদার ইকবাল, সমাজসেবক এমইউ বাহাদুর, বেলাল আহমদ, সাংবাদিক বশির আজাদ, নুরুল আমিন, হাফেজ আহমদ জিসান, সমাজ সেবক নুরুল আমিন, ওসমান সরওয়ার, মোহাম্মদ ফরিদ ভুট্টু প্রমুখ।
দুঃখ-দুর্দশার খোঁজখবর নিতে যাওয়ায় এলাকাবাসী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার মুহাম্মদ, মাওলানা মুজহেরুল ইসলাম মাসুম, নুরুল কবির, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, মুহাম্মদ নবি, জালাল আহমদ, ফরিদুল আলম, মাওলানা রিদুয়ান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত