
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি: শনিবার ভোরের আলো ফোটার সাথেসাথে রাঙামাটি শহরে একটি পোষ্টার সকলের মনে কৌতুহল সৃষ্টি করেছে, রাঙামাটি শহরে ঘুরে দেখা গেছে কলেজ গেইট এলাকা, জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ শহরের গুরত্বপুর্ন এলাকায় রাতের আধারে কে বা কাহারা পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠনের নামে পোষ্টার লাগায়। পোষ্টারের গায়ে লেখা আছে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, উপজাতীরা নয়,বাঙালীরাই এখানকার আদিবাসী, উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুর্ব তিমুর বা দক্ষিণ সুদান বানানোর ষড়যন্ত্র রখে দিন, ,পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পায়তারা প্রতিহত করুন, আদিবাসী ইস্যুতে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান কেন দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ জানতে চায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কমিশন বাতিল করুন। হঠাৎ করে এধরনের দাবি প্রকাশিত হওয়াতে জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এবিষয়ে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম মুঠোফোনে জানতে চাইলে আদিবাসী ফোরামের আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা বলেন, এগুলো নিয়ে আমাদের কিছু আসে যায় না, আমাদের ইতিমধ্যে কর্মসূচী নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আমরা সরকারী প্রশাসনকে জানিয়েছি, এখানকার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবাইকে জানিয়েছি। যদি কোন প্রকার বাধা বা সে ধরনের অপ্রত্যাশিত কিছু হয় সেটা স্থানীয় প্রশাসন দেখবে। কে কি বলছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, আমাদের কথা হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে অদিবাসীদের যে স্বীকৃতির অধিকার আছে সে দাবি আদায় করার জন্য আমরা শান্তিপুর্ণ ও সুশৃংখলভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।দাবি আদায়ের কর্মসুচী গ্রহণ করা গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার বাংলাদেশের আইনেই আছে, কাজেই আমাদের কর্মসুচি শান্তিপুর্ণভাবে হবে। বিজ্ঞমহলের ধারনা সুপরিকল্পিতভাবে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের দরকার এখানে বিষয়টি সুরাহা করা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ সংগঠনটি সম্পুর্ণ নতুন নামে শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলগুলি ও আঞ্চলিক বাঙালী রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত