নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফে ইয়াবা নাটকের স্বীকার ৩ মাসের শিশুর মা নাসিমা আক্তার কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে খবর পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের আদেশের প্রেক্ষিতে রির্পোটে জানা যায় গত তিন মাস আগে নাসিমা কন্যা সন্তান প্রসবের পর তার রক্তক্ষরন বন্ধ না হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে গাইনি বিশেষজ্ঞের অধিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু নাসিমাকে গত ১১ দিন আগে টেকনাফের পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের সময় ও তার রক্তক্ষরন হচ্ছিল বলে জানা যায়। নাসিমার পরিবারের পক্ষ থেকে আরো অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীর সাথে আতাত করে ইয়াবা নাটকের জন্ম দিয়ে দিয়ে পুলিশ নাসিমাকে অসুস্থ অবস্থায় নির্যাতন করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশী নির্যাতন এবং কারাগারে গাইনি বিশেষজ্ঞ নাথাকায় বর্তমানে মা ও ৩ মাসের শিশু দুই জনই গুরুত্বর অসুস্থ বলে জেল সুপারের রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়। নাসিমার পক্ষ থেকে তার আইনজীবি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ বিচারক তার শারিরিক রিপোর্ট প্রদানের জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল এ রিপোর্টটি পাওয়া যায়। টেকনাফের মৌলভী পাড়ায় ইয়াবা নাটকের ঘটনায় এখনোও স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছেনা বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন। কারণ কবে কখন কোন লোকজন ইয়াবা নাটকের স্বীকার হয়ে কারাগারে যেতে হবে সে আশংকায় বিরাজ করছে। তাদের পরিবারের দাবী যে ইয়াবা নাটকের জন্ম দিয়ে আমাদের পরিবারের ৩ মাসের শিশু সহ চারজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন সেই ইয়াবাগুলো যদি একজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হতো তাহলে এটাই প্রতিয়মান হত যে, পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ দ্বারা বায়েস্ট হয়ে ও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে আমাদের উপর অবিচার করেছিল। তাই আমরা আবারো জোর দাবী জানাচ্ছি যাতে এই ইয়াবা নাটকের ঘটনার জন্ম দিয়ে আমাদের উপর যে অত্যাচার করা হলো তার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষী পুলিশদের যেন শাস্তি হয়।
প্রকাশিত: ০১/০৭/২০১৫ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ
টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফের কচুবনিয়া এমপি বদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান ...
পাঠকের মতামত