সরওয়ার আলম:
কক্সবাজারের রামু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইকুল আহম্মেদ ভূঁইয়া আকষ্মিক বদলী আদেশ প্রাপ্ত হইয়া ৩১ মে (রবিবার) কর্মভার অবমুক্ত হন। তাহার স্থলে নতুন অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইকুল আহম্মেদ ভূঁইয়ার আকষ্মিক বদলীর খবরটি স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্থি ফিরে পেয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন বিচার প্রার্থী ও প্রতিপক্ষের পক্ষে লাগিয়ত হওয়া এবং প্রহসনের মাধ্যমে অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হওয়া কিছু সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ, সরকারী কাঠচোর, মদ, ইয়াবা ও মানব পাচারকারীগণ সাময়িকভাবে হতাশ হয়েছে। শালিশ বৈঠকের নামে অনেক ঘুরাঘুরি ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ভূক্তভোগীরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মুরব্বী, মানবাধিকার ও সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান এবং সচেতন মহল তার আকষ্মিক বদলীতে আনন্দিত এবং এ ধরনের বদলী আদেশকে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং সংশ্লিষ্ঠদের সাধুবাদ জানান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম.পি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খোরশেদ আরা হক জানান- ধর্ষন, নারী নির্যাতনের মত বিষয়ে আপোষ করে দেওয়া, মদ ও ইয়াবা পাচার এবং মানব পাচারের মত জঘন্য বিষয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শীতিলতা দেখানো ও যথাযথ আইনী পদক্ষেপ না নেওয়া সহ আটক-ছাড় বাণিজ্য, দালাল চক্রের তৎপরতাকে ব্যাপক আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে পেয়ে আসছি। উক্তরূপ অভিযোগ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পৌঁছেছে। আইন শৃংখলার উন্নতি, ইয়াবা ও মানব পাচার রোধ কল্পে করণীয় শীর্ষক উর্ধ্বতন মহলের একাধিক বৈঠকেও ঐ সকল অভিযোগের তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলেই জনস্বার্থে এ বদলী আদেশ কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূর্নীতি মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে সরকার এসব কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত