
অনলাইন ডেস্ক:
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি ইচ্ছা পূরণের দাবি জানিয়েছেন। প্রথম ইচ্ছাটি ফাঁসির পর তার লাশ গোসল না করিয়েই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা। দ্বিতীয়টি শুক্রবার যেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আখেরুল ইসলাম কয়েদি কামারুজ্জামানের শেষ এ দুটি ইচ্ছার কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, বিচারপতিদের স্বাক্ষর করা রায়ের কপি কারাগারে আসা মাত্রই তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে নিয়ম অনুযায়ী তা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে সময় বেঁধে দেবে সে অনুযায়ী ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
এদিকে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী জানান, তার বাবা পছন্দ করেন শেরপুরের আতপ চালের ভাত, টাকি মাছের ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, আমের আচার ও ভুনা ডাল। সম্ভব হলে তাকে তার পছন্দের খাবার দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, গত সোমবার রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে কামারুজ্জামানের করা আবেদন খারিজ করে ফাঁসির রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। গতকাল পৌনে ৫টার দিকে বিচারপতিদের স্বাক্ষর করা সেই রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানকে ওই রায় পড়ে শুনানো হয়। এখন কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা না চাইলে এর পর যে কোনো সময় তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা যাবে।বিডি-প্রতিদিন
পাঠকের মতামত