প্রকাশিত: ০৩/০৩/২০১৫ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

Dead
এম.এস রানা:
যৌতুকের কারনে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে ২ সন্তানের জননীকে। এই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে গেছে উক্ত পরিবারের সদস্যরা এই ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেছে।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন রুমখাঁ কুলাল পাড়ার মোহাম্মদ শাকেরের কন্যা জান্নাত বেগম (২৮) এর সাথে গত ৮ বছর আগে বিয়ে হয় মহেশখালী উপজেলার ঠাকুরতলা ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার পুত্র মোজাম্মেল হক (৩৬) এর সাথে। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই স্ত্রী জান্নাত বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং পিতার বাড়ী থেকে যৌতুক আনতে অপারকতা প্রকাশ করলে তার উপরে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। পিতাঃ মোহাম্মদ শাকের মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যতটুকু সম্ভব সাধ্যমত যৌতুক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে আসছিল, এর মধ্যে জান্নাত বেগমের গর্ভে সিফাত (৭) ও রিফাত (৫) পূত্র সন্তান আসে, হতভাগী জান্নাত বেগম ছেলে দুটির মুখের দিখে তাকিয়ে স্বামী ও তার শ্বাশুর শ্বাশুড়ী সহ সকলের অমানবিক নির্যাতন নিরবে সহ্য কওে আসছিল। কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে সন্তেষ্ট না ভয়ংকর রুপ ধারন করে গৃহবধু জান্নাত বেগমকে তার পিত্রালয় হতে নগদ ২ লক্ষ টাকা যৌতুক বাবদ এনে দেওয়ার জন্য অনাবরত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এদিকে জান্নাত বেগমের পিতা কোন রকম তার নিজের সংসার হাজারো কষ্টের মধ্যে চালিয়ে আসছিল, মেয়ের জামাইকে দেওয়ার জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা সে কোথায় পাবে? মেয়ে তা বুঝতে পেরে যৌতুক এনে দিতে অপারকতা প্রকাশ করলে গত ১ ফ্রেব্রুয়ারী তার উপরে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে মহেশখালী হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং ঐ দিন রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধু জান্নাত বেগমের উপর পূনরায় অমানবিক নির্যাতন ছালিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। অভিযুক্ত-রা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে সকালে এলাকাবাসির নিকট হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে নিহত গৃহবধুর স্বজনরা উখিয়া থেকে মহেশখালী যায় এবং মহেশখালী থানায় অবহিত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে গৃহবধুর লাশ তার স্বজনদের কাছে স্তানান্তর করে গত ৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩ টায় উখিয়াস্ত তার পিত্রালয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে নিহত গৃহবধু জান্নাত বেগমের ভাই দেলোয়ার হোছাইন বাদী হয়ে গত ২/৩/২০১৫ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত ২০০৩ এর ১১ কো) ধারায়, স্বামী মোজাম্মেল হক (৩৬) শ্বাশুর মোঃ জকরিয়া (৫৫) শ্বাশুড়ী মমতাজ বেগম (৫০) দেবর যথাক্রমে মোঃ ফারুক(২৭), মোঃ খোকন(৩০), মোঃ শাকের(২৪) কে আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন যার নং ০৩০২/০৩/২০১৫ বর্তমানে ঘাতকরা পালাতক রয়েছে যাওয়ার সময় জান্নাত বেগমের অবুঝ ২ সন্তানকে নিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের মৃত মায়ের মুখ পর্যন্ত দেখতে পারেনি। নিহত জান্নাত বেগমের পিতা মোহাম্মদ শাকের কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার মেয়ের সুখের জন্য আমার সাধ্যমত যা পারি দিয়েছি, বুঝতে পারিনি টাকার জন্য তার শ্বাশুর বাড়ীর লোকজন ও স্বামী তাকে এভাবে বেদড়ক পিটিয়ে হত্যা করবে, আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই, যৌতুক লোভীদের ফাঁসি চাই।

পাঠকের মতামত

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

পলাশ বড়ুয়া:: উখিয়া কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ...