এম.এস রানা, ১৫ সেপ্টেম্বর ॥
উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অবৈধভাবে বসবাসরত ৬০ হাজার রোহিঙ্গার অপকর্ম ও অনৈতিক কর্মকান্ডে দেশের আনুমানিক ৫ লক্ষ সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিন দিন কলুষিত হয়ে উঠছে দেশের সমাজ ব্যবস্থা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও উখিয়া-টেকনাফ আনাচে-কানাচে অবৈধ ভাবে বসবাস করা এসব রোহিঙ্গারা জীবন-জীবিকার তাগিদে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই সহ রোহিঙ্গা যুবতিদের যত্রতত্র অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। সরকারী ও সামাজিক কোন সংগঠন এ ব্যাপারে সজাগ না হওয়ায় দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী ঐসব অবৈধ রোহিঙ্গারা দিন দিন বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে। জড়িছে পড়েছে পতিতাবৃত্তির মত জঘন্য পেশায়। উখিয়া কুতুপালং ও টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁপড়িতে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচা-কেনা হয় মদ,গাঁজা, আফিম, হিরোইন ও মরণ নেশা ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। শতশত মাদকসেবী যুবক রোহিঙ্গা যুবতী মেয়েদের নিয়ে অবাধ মেলামেশা ও পতিতাবৃত্তি চললেও দেখার বা বলার কেউ নেই। রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন শৃংখলা দায়িত্বে নিযোজিত গুটি কয়েক পুলিশ থাকলেও অবৈধ ভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে কেউ নেই। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা যুবতী আছিয়া খাতুন , আনোয়ারা বেগম, আবিয়া খাতুন, নুর বেগমের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি দল গঠন করে পতিতাবৃত্তির মত দেহ ব্যবসা করে আসছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এছাড়াও ঐ দলের সদস্যরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার কিছু কিছু মিনি পতিতালয় সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন নামী-দামী হোটেলে রাত যাপন করে মোটা অংকের টাকায় আয় করে ভোর সকালে ক্যাম্পে ফিরে আসে বলে রোহিঙ্গা মাঝি রফিক জানান। গত বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে উখিয়ায় সচেতন নাগরিক সমাজ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহ ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে একের পর এক কর্মসূচী পালন করলেও বাস্তবে এ কমিটির আন্দোলনে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে তাদের কোন কর্মকান্ডই নেই বললেই চলে। ফলে এসব অনৈতিক কার্যক্রমের ছোঁয়া এলাকায় ক্রমশ বিস্তার হওয়ার সুবাধে এলাকার পরিবেশ বিবর্জিত হচ্ছে বলে গ্রামবাসির অভিযোগ। এব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ জালাল উদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, গুটি কয়েক পুলিশের পক্ষে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির খবর রাখা সম্ভব নয়। সচেতন মহলের অভিমত স্বাধীন দেশের সুনাগরিকদের শান্তি বিনষ্টকারী ঐসব অবৈধ রোহিঙ্গাদের যত্রতত্র বিচরণ বন্ধ না হলে দেশের অবস্থা আরও করুণ হতে পারে। তাই সরকারের উচিত ক্যাম্পে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রহরী নিয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে ক্যাম্পের বাহিরে বিচরণ করতে না দেওয়া।
প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৩ ৩:৪২ অপরাহ্ণ
পাঠকের মতামত