
অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচির মালির শহরতলির একটি জেলা আদালত ১৭ বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীর প্রত্যেককে ৫ বছর মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে। তাদের সাজার সর্বমোট মেয়াদ ৮৫ বছর। গতকাল এ রায় দেয় আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচরক আখতার সুলতানা তার রায়ে বলেছেন, পাকিস্তানে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে বিদেশীদের জন্য যে আইন রয়েছে, তা লঙ্ঘন করেছে অভিযুক্তরা। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক অনলাইন দ্য নিউজ। ওই পরিবারের সদস্যদের এনায়েত, রফিক, জরিনা ও রাজুর নাম প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। ২০১২ সালে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে পাকিস্তান ছাড়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল তারা। এর আগে তারা করাচিতে অবস্থান করছিল। তাদের জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)-এর কর্মকর্তারা। এফআইএ’র আইন বিভাগের সহযোগী পরিচালক আনোয়ার আদিল বলেছেন, পাকিস্তানে বসবাসের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে এবং এ ধরনের কর্মকা-ের পেছনে বহু সংখ্যক বিদেশী অভিবাসীর হাত থাকতে পারে। অবৈধ অভিবাসীদের শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে আদালতকে অনুরোধ করেন তিনি। শুনানির পর আদালত অভিযুক্ত ১৭ জনের প্রত্যেককে ৫ বছর মেয়াদে কারাদ- প্রদান করে। বাংলাদেশ থেকে পরিবারটির পাকিস্তানে যাওয়া ও সেখানে বসবাসের ব্যাপারে বিস্তারিত কোন তথ্য প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
পাঠকের মতামত