
জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার সিংগী বাজার এলাকা ক্রিড়া শিক্ষা সাহিত্য সকল দিক থেকেই ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে । বর্তমান এই এলাকা গাজাখোরদের দখলে । কথিত আছে শহিদ রেফারী নামে এক ফুটবল কোচ থাকতেন সিংগী বাজারে । তিনিই নাকি এই এলাকায় গাজার গোড়াপত্তন করেন । সেই থেকে গুটি গুটি পায়ে গাজা এই এলাকায় বর্তমান অবস্হায় দাড়িয়েছে । রায়গ্রাম স্কুল মাঠে প্রতিদিন সন্ধের পর গাজার আসর বসে ।ইউ পি পরিষদের পেছনে গাজা সেবন করা হয় । অত্র এলাকার শিক্ষিত ভদ্র ছেলেরা বিকেলে ও সন্ধের পর ইউ পি পরিষদের বারান্দায় বসে বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা করে আড্ডা দেই । প্রায় প্রতিদিনই তারা গাজার গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে ।এই বিষয়টা অত্র ইউ পি পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হলেও তাতে কোন ফলহয়নি। গোমরাইলের হারুবাবুর আমবাগানে গাজা বেচাকেনার কাজ চলে ।এই গ্রামের সাবেক মিজান ডাকাত গাজা বিক্রির কাজ করে । সিংগী দাশপাড়ার আমবাগানেও গাজা বিক্রি হয় । রায়গ্রাম দাশ পাড়ায় গাজা বিক্রি হয় ।প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন শিক্ষার্থী গাজায় আক্রান্ত হচ্ছে । আর এই সমস্ত গাজাখোররা বিভিন্নভাবে স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের টিজ করে থাকে। বর্তমানে সিংগীবাজার এলাকা সামাজিক ,রাজনৈতিক ও বাজার কেন্দ্রিক এই তিন দিক থেকেই নেতৃত্ব শুন্য । ফলে এই গাজাখোরদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না।এলাকার জনগন ও প্রশাসন যদি এখনি এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ না গড়ে তোলে তাহলে এই এলাকা গাজাখোরদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হবে । অনেকেই হইত ভাবছে আমার পরিবারের কেউ তো গাজা সেবন করছে না তাহলে আমার দরকার কী ? এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় যে কোন পরিবারের সদস্য গাজাখোর হতে পারে অথবা আপনার পরিবারের মেয়েটি গাজাখোর বখাটেদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।একজন “কামার” আগুনের সুনিদিষ্ট ব্যাবহার করে লোহাতে তাপ প্রয়োগের ফলে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিষ তৈরি করে। অপরদিকে একজন সন্ত্রাসী এই আগুনের অপব্যাবহার করে শত শত জীবন নষ্ট করে থাকে।তাহলে আমরা কি আইন করবো যে, এই আগুন মুক্ত সমাজ চাই? হ্যা আমাদের উচিত যে, ঐ প্রানহরন কারির হাতে আগুন দেয়া যাবে না। ঠিক তেমনি আমাদের সমাজে অতি গুরুত্বপুর্ন কিছু “মেডিসিন”রয়েছে যা ব্যাতীত কিছু কিছু চিকিৎসা সেবা অচল হবে। এই মেডিসিন গুলো কখনো যদি পাত্রভেদে অপব্যাবহারের ফলে মাদক হিসাবে ব্যাবহার হয় তাহলে কি আমাদের আইন করতে হবে যে, ঐ মেডিসিন মুক্ত সমাজ চাই। না সেটা সম্ভব না, তবে কঠোর আইন করতে হবে যে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যেন, ঐ মেডিসিন(মাদক) কেউ হাতে না পাই। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানা যায় কালিগঞ্জ থেকে এই মাদক মেডিসিন সারা ঝিনাইদহে ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারন জনগনের এখন একটাই দাবি , মাদককে না বলুন, আমাদের “মাদকমুক্ত সমাজ চাই” ।
পাঠকের মতামত