প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০১৩ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ , আপডেট: ১৫/০৯/২০১৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
অপশক্তি দমণে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

skhasinaসিএসবি ডেস্ক, ১৫সেপ্টেম্বর ॥ বর্তমান সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের হাওয়া লাগতে পারে এ আশংকা ব্যক্ত করে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে তা মোকাবেলায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপশক্তি দমণে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে, তবে তা জনগণকে হয়রানি করে নয় রোববার রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে জাপানের আর্থিক সহায়তায় নবনির্মিত ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল অ্যান্ড অপারেশনস্ মনিটরিং সেন্টার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। আমার বিশ্বাস আপনারা নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে সে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ দমণ ও বিএনপি-জামাতের তান্ডব মোকাবেলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের পুলিশি তৎপরতা ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণে ব্যবহার হবে আন্ত নেটওয়ার্কের আওতায় সিসি ক্যামেরা, ইন্টারনেট, ভিডিও স্ট্রিমিংসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি। জাতীয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ পরীবিক্ষণ ভবন থেকে মাঠ পর্যায়ের অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণের সুযোগ সুবিধা যোগ হলো পুলিশ বাহিনীতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মান্ধ জামাত-শিবির ও হেফাজতিদের হিংস্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ধ্বংসযজ্ঞ রোধে পুলিশ সদস্যগণ যে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, ত্যাগ, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বে পরিচয় দিয়েছে তার জন্য আপনাদেরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের নতুন ষড়যন্ত্রের আশংকার কথা জানিয়ে তা মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীকে দিকনির্দেশনা দেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকায় যাতে জনঅসন্তোাষ তৈরি না হয় সেদিকে যতœ শীল হতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, থানা, তদন্ত কেন্দ্র, ফাঁড়ি, পুলিশ বক্স এবং পুলিশের অন্যান্য দপ্তরে আগত মানুষ যাতে অযথা হয়ারানি, দুর্ব্যবহার বা কোনো দুর্ভোগের শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে। মানুষের আশা ভরসার স্থল এই পুলিশ বাহিনী তারা যেন এই আস্থাটা এই বাহিনীর ওপর রাখতে পারে। পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে সামরিক শাসনের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যখন মিলিটারি ডিকটেটররা ক্ষমতায় আসে তখন স্বাভাবিকভাবে তারা নিজেদেরকে বেশি দেখে, পুলিশের দিকে তাকায় না। চলতি বছরের শুরু থেকে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াতি সহিংসতার মধ্যেও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ বাহিনীকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন সরকার প্রধান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এরকম ভবন নির্মাণ হওয়ায় পুলিশের অভিযান চালানোর সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং আইনি সেবা কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণসহ পুলিশের কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম নির্বিঘœ হবে। ফলে পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এ ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে যে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে একটি সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছে। তিনি বলেন, এবার সরকারের দায়িত্বে এসে তাঁর সরকার পুলিশে ৭৩৩টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইজিপি পদকে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পুলিশ বিভাগের একাধিক পদকে গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১ এ উন্নীত করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি ও কল্যাণ ফান্ড গঠনের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপদগ্রস্থ মানুষ পুলিশের কাছে যায় সাহায্যের আশায়। তারা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি, দুর্ব্যবহার বা দুর্ভোগের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পেশাগত ভাবে দায়িত্বশীল এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে আপনাদের জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরণের চাপে প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষ থেকে নির্ভয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য পুরিশ সদস্যদের ট্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাপানি রাষ্ট্রদূত সিউসাতো সিমো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মোস্তাক আহমেদ, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার সহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

পাঠকের মতামত

  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • চকরিয়ায় থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার
  • বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-ট্রাষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠিত
  • উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু
  • উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

    নিহতের জিহ্বা কেটে পালিয়েছে সহযোগীরাউখিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

      পলাশ বড়ুয়া:: কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু ...