
জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের শৈলকুপার ফয়সালসহ পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীর ফাঁসি ও ছয়জনের যাবজ্জীবন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। নিহত জুবায়েরও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন ঝিনাইদহের সদর থানার আরাবপুর এলাকার জামতলার সড়কের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাজু, বরগুনার আমতলী থানার ৫ নম্বর চওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা এলাকার হিরু খানের ছেলে খান মো. রইস ওরফে সোহান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার রামপুর এলাকার বাছেদ আলীর ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে জাহিদ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার মসজিদ পাড়ার খন্দকার শফিকুল ইসলাম বকুলের ছেলে আশিকুল ইসলাম ফয়সাল, নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর এলাকার মাহবুব মোর্শেদ আজাদের ছেলে মাহাবুব আকরাম। এরা সবাই পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও কামরুজ্জামানসোহাগ, ইতিহাস বিভাগে মাজহারুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু ওরফে অভি এবং অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। খালাস পেয়েছেন লোকপ্রশাসনবিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান প্লাবন ও ইতিহাস বিভাগের মাহমুদুলহাসান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার আগে আসামিদের মধ্যে কারাবন্দী সোহাগ, মাজহারুল, সেতু, অভি, তপু, প্লাবন ও মাহমুদুলকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও অবরোধেরমধ্যে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে যায়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের অন্য গ্রুপের কর্মী জুবায়ের আহমেদ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করে।২০১২ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীরশাহীন শাহ পারভেজ১৩জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্রদাখিল করেন।
পাঠকের মতামত