প্রকাশিত: ২৫/০১/২০১৫ ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ , আপডেট: ২৫/০১/২০১৫ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

90586f1363de1d1e869f75917f877c3e
ফটিকছড়িতে প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করার পাশাপাশি বিদ্যালয় পড়ণ্ডয়া এক ছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোন প্রকার খোঁজ মেলেনি অপহৃত ওই ছাত্রের। শুক্রবার রাত নয়টায় উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ফকিরাচাঁন গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির প্রবাসী আবছারের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ছাত্রের নাম মিনহাজুর রহমান বাবর (১৪)। সে চট্টগ্রাম নগরীর সারমন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে প্রায় এক মাস যাবৎ গ্রামের বাড়িতে ছিল। পরিবারের সদস্যরা ঘটনার বিবরণে জানান, ওই দিন রাত নয়টার দিকে ঘরের সামনের দরজা বন্ধ করছিলেন প্রবাসী আবছারের স্ত্রী রেজিয়া বেগম। ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মুঠোফোন জব্দ করে নেয়। এরপর ঘরে থাকা বড় ছেলে মিনহাজকে মুখে ট্যাপ লাগিয়ে হাত পা বেঁধে রাখে এবং ঘরের গৃহিণী রেজিয়া বেগম ও শিরু আকতারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঘরে থাকা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা ও প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার এবং বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ সময় মিনহাজকে ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের একটি কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়। পরে ডাকাতরা যাওয়ার সময় মিনহাজকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের একটি কক্ষে অঝরে কাঁদছেন মিনহাজের মা রেজিয়া বেগম (৪০)। পাশে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে একমাত্র ছোট ভাই মিনারুল ইসলাম (১০)। স্বজনরা তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মিনহাজের মা রেজিয়া বেগম বলেন, ‘ডাকাতরা সংখ্যায় ৭/৮ জন ছিল। সবার হাতে অস্ত্র দেখতে পেয়ে তাদের হাত পা ধরে আকুতি করেছি। তোমরা আমাদের কোন ক্ষতি করো না। টাকা পয়সা যা লাগে নিয়ে যাও। কিন্তু তারা আমার বুকের ধনকে নিয়ে গেল। আমি আমার মিনহাজকে ফেরত চাই।’ ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন অপহৃতের জেঠা শহীদুল ইসলাম। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপহৃত ছাত্রটিকে অক্ষতভাবে উদ্ধার করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এদিকে ফটিকছড়িতে কর্মরত গোয়েন্দাদের ধারণা, এটি উপজাতি গ্রুপ ইউপিডিএফ-এর কাজ।

পাঠকের মতামত