মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া:
উখিয়ায় থানা পুলিশ ও কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত দুই ডাকাতকে অস্ত্র সহ আটক করেছে। বুধবার ভোররাতে মুক্তিপনের টাকা আদায়ের সময় পুলিশ গভীর জঙ্গল থেকে তাদেরকে আটক করে। শীর্ষ দুই ডাকাত আটকের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।
জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের আইসি শহিদুল আলম চৌধুরী ও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক, হারুনুর রশিদ, রাজেশ বড়–য়া, মোঃ বাবুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের উত্তর পার্শ্বে গভীর জঙ্গল থেকে শীর্ষ ডাকাত উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া গ্রামের মির আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৮) ও চেং দোলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মালেক (২৬)কে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী একটি এলজি, ২ রাউন্ড তাজা কার্তজ, একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত ডাকাতরা গত ১২ জানুয়ারী কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের আহমদ হোসেনের ছেলে ইউনুছ (২৭), তার মেয়ে আসমা আক্তার (৫)কে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে অপহরণ করে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়। এরপর অপহৃতদের ভগ্নিপতি জাফর আহমদের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপন দাবী করে। জাফর আহমদ এ বিষয়টি ক্যাম্প পুলিশের আইসিকে অবহিত করে এবং ডাকাতদের চাহিদা মত মুক্তিপন দেওয়ার জন্য ডাকাতদের আস্থানায় যায়। এ সময় পুলিশ অভিনব কায়দায় ডাকাত দলের আস্তানা চিহ্নিত করে। মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার সময় পুলিশ ডাকাত দলের আস্তানা ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে ২ ডাকাতকে অস্ত্র সহ আটক করে। এ ব্যাপারে কুতুপালং গ্রামের সমাজ সেবক ও সাবেক ইউপি মেম্বার বখতিয়ার আহমদ জানান, আটককৃত ডাকাতরা এলাকার সাধারণ মানুষদের অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করে থাকে। আর যদি মুক্তিপন দেওয়া না হয় তাহলে অপহরণকৃতদের শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে থাকে। এছাড়াও উক্ত ডাকাতরা এলাকায় বিভিন্ন সময় ডাকাতি সংঘটিত করে থাকে। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের আইসি শহিদুল আলম চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃত ডাকাতদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, আটককৃত ডাকাতদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নারী নির্যাতন, ডাকাতি, খুনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পাঠকের মতামত