কনকনে শীত দেশের গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতের পাশাপাশি ঘনকুয়াশা জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলনের হুমকি ও তা যে কোনো মূল্যে প্রতিহতের সরকারি দলের হুমকিতে জনজীবনে অস্বস্তির শেষ নেই। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে মধ্য পৌষের হাড় কাঁপুনে আবহাওয়া। একদিকে প্রচণ্ড শীত অন্যদিকে ঘনকুয়াশায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন গত কয়েক দিন ধরে স্তব্ধ প্রায়। ফেরি চলাচল বিঘি্নত হওয়ায় রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যাতায়াতে বেশি সময় লাগছে। নৌযান চলাচলেও দেখা দিচ্ছে সংকট। তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ সীমা অতিক্রম করতে চলেছে। দিনমজুরদের শীতের কারণে কাজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়ায় কষ্ট পাচ্ছেন অনেকেই। হতভাগ্যদের প্রায় সবাই সমাজের দরিদ্র শ্রেণির। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে তা দীর্ঘায়িত হতে পারে। ৩ জানুয়ারির পর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। শীতার্ত মানুষকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতি বছর কিছু কিছু সরকারি উদ্যোগ দেখা গেলেও এ বছর সে ধরনের তোড়জোড় নেই বললেই চলে। ফলে কোথাও কোথাও গরিব মানুষ তার সর্বস্ব বেঁচে কম্বল বা গরম পোশাক সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আমরা আশা করব, শীতপীড়িত মানুষের জন্য ত্রাণে সরকার কম্বল ও গরম পোশাক বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সমাজের সম্পন্ন মানুষেরও শীতার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগিতার হাত। শৈত্যপ্রবাহ কৃষির জন্য যেসব হুমকি সৃষ্টি করছে তা রোধে কৃষি বিভাগ যথাযথ উদ্যোগ নেবে- আমরা তেমনটিও দেখতে চাই।
পাঠকের মতামত