
মহিউদ্দিন মাহী, কক্সবাজার::
দেশের একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত ও গোয়েন্দা তালিকাভুক্ত আসামী জঙ্গি সালাউলকে দেশের শীর্ষ আলেম বলে দাবী করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একে আহমদ হোসেন।
কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকায় সরকারী কলেজের পেছনে গড়ে উঠা জঙ্গী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ইমাম মুসলিম (রা.) ইসলামিক সেন্টারে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়ার আসনের সংসদ সদস্য নেজাম উদ্দিন নদভী ও কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের উপস্থিতিতে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট একেএম আহমেদ হোছাইন বলেন, সালাউল ইসলাম জঙ্গী নয়। তার সাথে জঙ্গীদের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ দশজন আলেমের একজন।
সালাউলের বিরুদ্ধে দেওয়া পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদনও সঠিক নয় বলে এ বর্ষিয়ান নেতা দাবী করেন।
গোয়েন্দা তথ্য মতে, হাফেজ সালাউলের ইমাম মুসলিম (রা.) ইসলামিক সেন্টার নামের মাদ্রাসাটি আরএসওর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এদিকে, সালাউল পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবসের আলোচনা সবায় পাঁচটি গরু, ৩০টি খাসি ও ২০০ মুরগি জবাই করে দুপুরের খাবার খাওয়া হয়েছে। হাফেজ সালাউল ইসলামের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে সরকারিভাবে বৈধতা দিতে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে তিনজন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।
সালাউলের আশ্রয়দাতা হিসেবে আরো রয়েছেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল্লাহ, ওলামা লীগের জেলা সভাপতি মাওলানা আলী আহসান, জেলা ইসলামী ঐক্যজোট নেতা ও হেফাজতে ইসলাম নেতা মুফতি এনামুল হক, জেলা ইসলামী ঐক্যজোট সভাপতি হাফেজ সালামত উল্লাহ, উখিয়ার মৎস্য লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াবা ব্যবসায়ী বখতিয়ার মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসমাইল।
বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় মদদের অভিযোগে যখন সালাউলকে আটকের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিক সে সময় তাঁর প্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় নেতাদের আগমনে চিহ্নিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, সালাউল রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ও রোহিঙ্গাদের মদদ দিচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছিল টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করা হয়েছে। সালাউলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত