
অনলাইন ডেস্ক:
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
এর আগে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে কায়সারকে পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর তাকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (তৎকালীন কুমিল্লা মহকুমা) সদরের পুলিশফাঁড়ি ও ইসলামপুর গ্রামের কাজিবাড়ীতে শাহজাহান চেয়ারম্যানকে হত্যা, নায়েব আলীকে জখম এবং লুটপাট করেন কায়সার ও তার সহযোগীরা। ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) মাধবপুর বাজারের পশ্চিমাংশ ও পার্শ্ববর্তী কাটিয়ারায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন আসামি ও তার লোকজন। এ সময় প্রায় ১৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) মাধবপুর থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের অহিদ হোসেন পাঠান, চেরাগ আলী, জনাব আলী ও মধু সুইপারকে হত্যা করেন আসামি ও তার লোকজন। তাদের বাড়িঘরে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। কায়সার ও তার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর বাজারের উত্তর-পূর্ব অংশে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা পূর্ব মাধবপুরের আবদুস সাত্তার, লালু মিয়া ও বরকত আলীকে হত্যা করেন এবং কদর আলীকে জখম করেন। ১১ মে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার চাঁদপুর চা-বাগানে সাঁওতাল নারী হীরামণিকে ধর্ষণ করে কায়সার বাহিনীর সদস্যরা। কায়সার এ ধর্ষণে সহায়তা করেন।
পাঠকের মতামত