
আবদুর রাজ্জাক,মহেশখালী:
মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ফের জলদস্যুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জলদস্যুদের এলাপাতাড়ি গুলি বর্ষণে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জামাল হোসেন (২২) নামের এক অসহায় ট্রলার শ্রমিক। জলদস্যুদের ছোড়া র্ছরা গুলিতে তার পুরো দেহ ঝাঝারা হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোর রাত্রে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে। আহত ট্রলার শ্রমিক সোনাদিয়া পশ্বিম পাড়া এলাকার জালালের পুত্র বলে জানা গেছে।
জানা যায়,বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ফিশিং ট্ররারটি সাগর থেকে মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে পৌছলে নাগু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নকিব ও বতল্ল্যা যাকাতের নেতৃর্ত্বে একদল শসস্ত্র জলদস্যু অস্ত্রের মুখে ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের জিম্মী করে মাছ,জাল ও মিশিনের মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় ট্রলার শ্রমিক জামাল হোসেন বাধা দিলে জলদস্যুরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে সাগরে ফেলে দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাশ্ববর্তি ট্রলারের লোকজন সাগর থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে সে হাসপাতালে ৫ম তলায় ১৩ নং বেড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এব্যাপারে একাধিক ট্রলার মালিকরা জানান, নিয়মিত মাসোহারা দিতে অপারগ হলে পরবর্তি এই ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মাত্র ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা ইঞ্জিন,জাল,আহরন কৃত মাছ,তেল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যায়। খালি ট্রলারটি ফুটো করে সাগরে ডুবিয়ে দেয়। ফলে কিছু মাঝি মাল্লারা সাতাঁর কেটে তীরে ফিরে আসলেও অনেকে সাগরে প্রান হারায়। এসময় জলদস্যুরা মাঝি মাল্লাদের অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মাস থেকে মহেশখালীর সোনাদিয়া সমুদ্র চ্যানেলে সাগরে জলদস্যূদের তৎপরতা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাগর থেকে ইলিশ মাছ ধরে কুলে ফেরার পথে জলদস্যূদের কবলে পড়তে হয়। তারা জানান, সাগরে জেলেদের কোন নিরাপত্তা নেই। এ কারণে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছি না।
পাঠকের মতামত