মহিউদ্দিন মাহী:কক্সবাজার
কক্সবাজার শহরে দিন দুপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৫০ শতক জায়গা দখল নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর-ই-আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদের নিজের জমির মালিকানা দাবী করে আদালতের রায় অনুযায়ী দখল করে। এসময় তার নিজস্ব জমি দাবী করে দখলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর-ই-আলম সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে কক্সবাজার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগিয় প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ৪শ/৫শ জন স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল ও সন্ত্রাসী জড়ো হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শহরের সায়মন রোডস্থ সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিপুল পরিমান জমি দখল করে নেয়। এ সময় সড়ক উপ-বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। ভেঙ্গে ফেলা হয় গেট ও বাউন্ডারি।
এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন বাধা দিলে তাদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়। অহেতুক উচ্ছেদের কবলে পড়া পরিবার গুলো দিকবিদিগ হয়ে ভয় ও আতংকে অন্যত্র ছুটছে। প্রয়োজনিয় মালামাল যা কিছু নিতে পেয়েছে তা নিয়েই সরে গেছে। তবে তাদের গন্তব্য কোথায় তা কেউ জানে না।
এসময় জমি ছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন দাবী করেন।তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলেও জানান।
এসব অভিযোগ অস্বিকার করে জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী বলেন,আদালতের রায় নিয়ে আমরা জমিটি দখলে নিয়েছি।সুতরাং সরকারী জমি দখলের প্রশ্নই উঠেনা।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর-ই-আলম বলেন,৪-৫শ জন সন্ত্রাসী দিয়ে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখলের অনুমতি কাউকে দেয়নি আদালত।তবে ১৮শতক জমি নিয়ে মোস্তাক আহম্মদ চৌধূরীর সাথে সড়ক বিভাগের একটি মামলা চলমান রয়েছে।
কক্সবাজার মডেল থানার ওসি মাহফুজুর রহমান সড়ক বিভাগের একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
প্রকাশিত: ২৮/১১/২০১৪ ৭:২৯ অপরাহ্ণ
আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...
পাঠকের মতামত