টেকনাফে জঙ্গি আমির হোছাইনের অজানা কাহিনী- ১

জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:
হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার এক প্রবাসী বর্মী নাগরিক বর্তমানে মুসলিম এইড পরিচালিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেক্রেটারী। বর্মী জঙ্গি সৌদী আরব সহ বিভিন্ন দেশে মসজিদ-মাদ্রাসার নামে চাঁদা করে গত সনে অবৈধ পন্থায় ক্যাম্পে ঢুকে রোহিঙ্গাদের নেতা বনে গেছে।

জানা যায়, মুসলিম এইড পরিচালিত লেদা আন রেজিষ্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে “উড়ে এসে জুড়ে বসে” এক জঙ্গি কাল টাকার বিনিময়ে নেতা নির্বাচিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মসজিদ মাদ্রাসার নামে বিদেশে চাঁদা, জঙ্গি তৎপরতা, মালয়েশিয়ায় মানব পাচার, হুন্ডি, বহু বিবাহ, ইয়াবা সহ নানান অভিযোগ রয়েছে। লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকের আমির হোছাইন জঙ্গিদের পৃষ্টপোষকতায় গেল ক্যাম্প ম্যানেজম্যান্ট নির্বাচনে সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়ে নানান ধরণের অপতৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। ক্যাম্পের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সে বছরের সিংহ ভাগ সময় দেশ-বিদেশে অবস্থান করে দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। রোহিঙ্গা জঙ্গি নেতা সালাউলের সেকেন্ড ইন কমান্ড উক্ত আমির হোসাইন জঙ্গি ক্যাম্পের ই ব্লকে কাপড় ও কসমেটিকসের দোকানের আড়ালে ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পে অবস্থিত লোকজনদের বাছাই করে বিভিন্ন সময় জঙ্গি ট্রেনিংয়ে পাঠিয়ে থাকে। আসলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা দাবী করলেও আমির হোছাইন হ্নীলা সিকদার পাড়ায় ২৭ শতক জমিতে বিলাস বহুল বাড়ী করে স্থায়ী বসবাস করছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, গ্রামে জমি কিনে বাড়ী করে বসতি, আবার কি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেক্রেটারী। এ নিয়ে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিলেও আসলে জঙ্গি তৎপরতা এবং ক্যাম্পে বসে দেশ বিরোধী বিভিন্ন তৎপরতায় মগ্ন থাকে। রোহিঙ্গা ও অসহায় গোষ্ঠী দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দাতাদের কাছ থেকে দান-খায়রাতির টাকা নিয়ে স্থানীয় ভাবে অঢেল সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলছে। জরুরী ভিত্তিতে উক্ত রোহিঙ্গা জঙ্গি নেতা গ্রামের, নাকি ক্যাম্পের গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করে অপকর্মের মুখোশ উন্মোচন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানতে চাইলে জঙ্গি নেতা আমির হোছাইন বলেন, গেল বছর ক্যাম্পে ঢুকেছি। ক্যাম্পে থেকে বাইরে বাড়ীÑঘর কেন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আল্লাহ করেছে বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। চলবে….