প্রকাশিত: ১৮/০৮/২০১৪ ৫:০৬ অপরাহ্ণ

image_118490.0,,16358539_302,00
হার্টের অসুখ মানেই মৃত্যু নয়!
সারা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। তবে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু অবধারিত নয়। জার্মানির হামবুর্গ শহরের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. টোমাস স্টাইন বলেন, একটু সচেতন হলেই হার্ট অ্যাটাককে দূরে রাখা সম্ভব। অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক কিন্তু কখনো কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে হয় না।
পেশাগত চাপ নয়
‘আজকের এই প্রতিযোগিতার যুগে যেসব মানুষ নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে, অর্থাৎ পেশাগত কারণে চাপের ভেতর থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। তাই কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ রক্ষা করতে দ্বন্দ্ব বা সংঘাত এড়িয়ে চলতে হবে’, বলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ স্টাইন।

হার্ট অ্যাটাক কি জানিয়ে আসে?
অনেকের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাক একেবারে হঠাৎ করেই হয়। অর্থাৎ আগে থেকে কিছুই বোঝা যায় না বা বোঝার উপায়ও থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে অবশ্য দেখা যায় যে, আগের দিন বা কয়েক ঘণ্টা আগেই শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন বুকে ব্যথা হচ্ছে, আবার কারো বা মনে হয় দম বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কী?
এক নাগাড়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে বুকের খাঁচা এবং পেটের ওপরের দিকটায় ব্যথা হয় এবং বমি হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ টোমাস বলেন, ‘হার্ট অ্যাটাকে মারা যাবার সময় অনেক রোগীকেই বলতে শুনেছি, আর সহ্য করতে পারছি না, বুকে প্রচণ্ড কষ্ট, ব্যথা আর অসম্ভব জ্বালা হচ্ছে।’

হার্ট অ্যাটাকের কারণ বা ঝুঁকিগুলো কী?
অতিরিক্ত ওজন, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, কম হাঁটা-চলা, ডায়বেটিস ইত্যাদি। তা ছাড়াও বংশগত কারণেও হৃদরোগ বা স্ট্রোক হতে পারে।

কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব?
বিশেষজ্ঞদের মতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিগুলো থেকে সাবধান থাকলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অর্থাৎ অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, মাংস থেকে দূরে থাকা। ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা উচিত। জীবনযাত্রার মান অনেকক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে সক্ষম।

হার্ট অ্যাটাক মানেই মৃত্যু নয়!
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা গেলে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখানো উচিত। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন

পেশাগত দায়িত্ব, পরিবার, সন্তান এবং অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে আজকের যান্ত্রিক জীবনে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। স্ট্রেস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই স্ট্রেস থেকে বেরিয়ে আসতে হাঁটাহাঁটি, খেলাধুলা, নাচ, গান, বাগান করা বা অন্য কোনো সখকে বেছে নিন, সপ্তাহে অন্তত দুই দিন। সূত্র : ডয়চে ভেলে

পাঠকের মতামত

  • ২০ রমজানের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে কর্মরতদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি বিপিজেএফের
  • ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
  • হিমায়িত মাংস ও দুধ খাওয়ার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা সপ্তাহ
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক
  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • রামদা'য়ে শাণ দেওয়া চবি ছাত্রলীগের সেই দুই কর্মী এখন সহ-সভাপতি

    রামদা’য়ে শাণ দেওয়া চবি ছাত্রলীগের সেই দুই কর্মী এখন সহ-সভাপতি

    চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ সময়টা ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) তখন মুখরিত ছিলো ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের ...