রেজাউল করিম রেজা, বিশেষ প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী মেডিকেল অফিসারসহ দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আলিগ্যাকাটায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আলিগ্যাকাটা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র ও টইটং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু আহমদ (৬০) তার স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫)।
স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, আলিগ্যাকাটায় বসতভিটার সীমানা নিয়ে আবু আহমদ ও প্রতিবেশী মৃত মুহাম্মদ ইলিয়াসের পুত্র নাছির উদ্দিন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে নাছির উদ্দিন গং একাধিকবার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে। গত কয়েকদিন আগে নাছির উদ্দিন গং আবু আহমদের স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে গালিগালাজসহ হেনস্থা করে। আবু আহমদ পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ইউপির সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দু’পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দায়িত্বও দেওয়া হয়। জায়গার পরিমাপসহ খুঁটি স্থাপন করে সীমানা নির্ধারন করে। ঘটনার দিন বিকেলে নাছির উদ্দিন গং ফের বিরোধী জায়গায় মাটি ভরাট করে জবর দখলের চেষ্টা করে।
এসময় আবু আহমদ বাধা দিলে নাছির উদ্দিনসহ ৫ থেকে ৬জন লোক আবু আহমদকে লাঠি দিয়ে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার স্ত্রী নাছিমা আক্তার স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করে আহত করে।
এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু আহমদ বলেন, নাছির উদ্দিন গং প্রভাবশালী। জোর করে বসতভিটার জায়গা জবর দখলের তৎপরতা চালায়। ওইদিন জোর করে মাটি ভরাট করছিল। বাধা দেওয়ায় আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনকে পিটিয়ে জখম করে।
এ ব্যাপারে টইটং ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) আবদুল আলীম জানায়,আমরা গিয়ে জায়গা পরিমাপ করেছি। দুপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত