আবদুস সালাম, টেকনাফ ॥
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ১০:১৪ পিএম

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকতে ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় দুইদিনব্যাপ পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছেন কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

 

এতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড,স্থানীয় লোকজনসহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সেন্ট মার্টিনের স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।  এই অভিযানে প্রায় ১২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সেন্টমাটিন থেকে অপসারণ করা হয়।

 

দুইদিনব্যাপী শনিবার (২১ ডিসেম্বার) সকাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দ্বীপে এধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এটি তাদের ১৩তম উদ্যোগ।

 

সেন্টমার্টিনদ্বীপের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিনকে পরিষ্কার রাখার জন্য ১৩ বছর ধরে এই কাজ করার জন্য কেওক্রাডং বাংলাদেশেকে স্বাগত জানায়। এই ভাবে সবাই এগিয়ে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে শুধু সেন্ট মার্টিনই নয়, আমরা বর্জ্য মুক্ত একটি পৃথিবীও গড়ে তুলতে পারব।”

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবছরের মত এই বছরও সেন্ট মার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছেন। এটি সেন্টমার্টিন এর জন্য খুব উপকারী কাজ।

 “প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আমাদের এ দ্বীপে আসেন। স্থানীয় ও পর্যটকদের কারণে সমুদ্রসৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য জমা হয়ে থাকে।” সৌভাগ্যবশত  কেওক্রাডং বাংলাদেশ -এর মতো সংস্থার সৈকত পরিষ্কারে প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলির কারণে দ্বীপের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।

 

কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন , বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আর সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।

 

তিনি আরও বলেন, “সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরুপ নিদর্শন। এর সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এ দ্বীপে জড়ো হন। দ্বীপটির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে, বিগত ১৩ বছর ধরে প্রতি বছর উপকূল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে আসছি এবং প্রতি বছরই এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে শুধু সেন্ট মার্টিন নয়, পুরো পৃথিবীকেই আমরা আরও পরিষ্কার করে তুলতে পারব।”

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় জামায়াতের সহযোগী সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের বিকল্প নেই

         গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই নতুন বাংলাদেশের মানুষ নতুন ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে শীতের দোকানে চলছে কাপড় বেচা-কেনা

         কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে গড়ে ওঠা শীতের দোকানে চলছে কাপড়ের বেচা-কেনা।এতে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ...

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সমাবেশ নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে মিয়ানমারে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

         বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা শরনার্থী জীবন থেকে মুক্তি পেতে নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তারা ...

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী গ্রেপ্তার

         কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদীকে গ্রেপ্তার করেছে ...

উখিয়ায় খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

         উখিয়ার কোর্টবাজারে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য। কয়েকটি মুদির দোকানে ...

পর্যটকে মুখরিত ইনানী সৈকত!

         একদিকে পর্যটন মৌসুম, অন্যদিকে মহান বিজয়ের মাস।  তাই পর্যটক বেড়েছে কক্সবাজার, ইনানী ও পাটোয়ারটেক সৈকতে।  ...