কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, এবার সম্পূর্ণ নতুন প্রেক্ষাপটে বিজয় দিবস উদযাপন হচ্ছে। দেশবাসী মুক্তির আনন্দে বিজয় দিবস উদযাপন করছে। বৈষম্য দূরীকরণের কথা বলে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনের পর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারাই ইসলামের বিরুদ্ধে ভুমিকা রেখেছে। অথচ ইসলাম ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ইসলামকে রাষ্টীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য জামায়াত ইসলামীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কক্সবাজার শহর জামায়াত ইসলামী আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে যারা রক্ত দিয়েছে তাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম বলেন, সত্যিকারের স্বাধীনতা এখনো পায়নি দেশের মানুষ। বিজয়ের সুফল ভোগ করতে পারেনি ৫৪ বছরেও। প্রতিবেশী দেশ বারবার আমাদের স্বাধীনতা ও আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। এদের কারণে বিগত ১৫ বছরে এদেশে নির্বাচন হয়নি। এখনো বৈষম্য চলমান রয়েছে। তাই জামায়াতের নেতৃত্বে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শহর জামায়তের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে ও সহকারি সেক্রেটারি দরবেশ আলী মোহাম্মদ আরমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল ।
সভাপতি বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল ফারুক ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলে বলেন, পাকিস্তানীরা বৈষম্য করেছে ও নির্বাচনের পর বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এজন্য মানুষকে লড়াই করে অধিকার আদায় করতে হয়েছে। আওয়ামীলীগ ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনের প্রার্থীদের অপহরণ করে, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে মানুষের ভোটাধিকার হরণের সংস্কৃতি চালু করে। ৩০ হাজার বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করে। সর্বোপরি ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দেয়। একই ধারাবাহিকতায় বিগত সাড়ে ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে দুর্নীতিমুক্ত, সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে জামায়াতের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে, কিন্তু শোষণ থেকে মুক্তি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ২০২৪- এর স্বাধীনতা যেন কেউ হাইজ্যাক করতে নিতে পারে- এজন্য জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,
জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, অফিস সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার নেছার আহমদ ভূইয়া, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি।
বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ মহসিন, শ্রমিক নেতা এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান, সাংবাদিক হাসানুর রশীদ, মাওলানা আবদুর রশিদ। আলোচনা সভার শুরুতে মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
পাঠকের মতামত