ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪ ১১:০৯ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্থানীয় ১১ জন নারী-পুরুষ ও ৩ জন এপিবিএন সদস্যসহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম ও আবুল হোসেন, মো. শরিফ, রোকেয়া বানু, আছিয়া খাতুন, ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন, মো. বেলাল উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, ছেনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার।

আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন- কনস্টবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান।

 

হোয়াইক্যং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা ও হামলায় আহত মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০-২২ জন সদস্য ক্যাম্পের বাইরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলেন। এসময় তাদের বলটি পাশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে পড়ে। পরে এপিবিএন সদস্যরা পাম্পের বাউন্ডারির ভেতরে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে বলটি আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়টি জানার জন্য এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তারা আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে মারধর করেন। এতে আমিসহ ১১ জন আহত হয়েছি।

 

উনচিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের বাসিন্দা আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে হেলাল উদ্দিনও ঘটনার একই বর্ণনা দিয়ে ১১ জন আহতের কথা বলেন।

উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেকপোস্টে দায়িত্বরত এএসআই মো. নুরুন্নবী বলেন, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে গ্রামবাসীর হামলায় উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের ৩ এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মাথায় ও পিঠে জখম হয়। আহতরা উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইআরসি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

উনচিপ্রাং এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিকেলে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেই ভুলবোঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে বসে সমাধান করে নেবো।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী এসিল্যান্ড যারীন, প্রথম মাসেই চমক!

         কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথম সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নিযুক্ত হয়ে প্রথম ...

কুতুবদিয়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন

         কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের শাহরুম সিকদার পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   ...

এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কার্যালয় ভাঙচুর টেকনাফে জামায়াত নেতাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা

         কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ইয়াবা বড়ি দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার পাশাপাশি সাদা পোশাকে টেকনাফ ...